‘সরকারের সমালোচনা করলেই তাকে দেশদ্রোহী গণ্য করা হয়’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, কেউ দেশ ও মানুষের কথা বললেই তাকে দমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কেউ সরকারের সমালোচনা করলেই তাকে দেশদ্রোহী হিসেবে গণ্য করা হয়। দেশের ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে।
মঙ্গলবার( ২৩ আগস্ট) বনানীস্থ কার্যালয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, দেশের নির্বাচনি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। নির্বাচনের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা নেই। দেশের সাধারণ মানুষ মনে করছে, কারচুপি করতেই ইভিএম-এ ভোট গ্রহণ করতে চাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। দেশের মানুষ একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রত্যাশা করছেন।
তিনি বলেন, ১৯৯০ সালের পর থেকে বারবার সংবিধান কাটাকাটি করে এক ব্যক্তির শাসন কায়েম করেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এখন সকল ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে। কর্তৃত্ববাদী কোনও সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
সৌজন্য সাক্ষাতে কাদের সিদ্দিকী বলেন, পরিচ্ছন্ন মানুষ হিসেবে জিএম কাদের এর গ্রহণযোগ্যতা আছে। কোনও কূটকৌশল নয় শুধু সাহস নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়ালেই সাধারণ মানুষের আস্থার ঠিকানা হতে পারে জাতীয় পার্টি।
পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন গণতন্ত্রমনা দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনায়ক। তিনি রক্তপাতহীন ভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন, ঠিক তেমনিভাবেই শান্তিপূর্ণ উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। রক্তপাত ঘটিয়ে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চাননি।
জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, জাতীয় পার্টি এখন আর কারও জোটে নেই। কারো বি-টিম হয়েও রাজনীতির মাঠে নেই।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেনি, প্রতিবাদ করেছিলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম। বঙ্গবন্ধুর জন্য কাদের সিদ্দিকীর মত এত ত্যাগ আর কারও নেই।
জাতীয় পার্টির নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীর প্রতীক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার।