অবশেষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শান্ত করলেন মেয়র সাদিক

অবশেষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শান্ত করলেন মেয়র সাদিক

অবশেষে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর সরাসরি হস্তক্ষেপে অশান্ত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শান্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর মধ্যস্থতায় তার  কালীবাড়ি রোডস্থ সেরনিয়াবাত ভবনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি, সাকুরা পরিবহনের মালিক পক্ষ,  বিশ্বিবদ্যালয় প্রশাসন,  স্থানীয় প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তা ও ইমনের পরিবার নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।শিক্ষার্থীদের সাথে দীর্ঘ ৪ ঘন্টা আলোচনার পরে সমঝোতায় পৌছানো যায়। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সাকুরা পরিবহন আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হয়। এছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।এ প্রেক্ষিতে বিশ্বিবদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।  মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে তার উপর আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ জানান। এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সকল যৌক্তিক দাবির পক্ষে তার আকুন্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করেন।এবং যে কোন সমস্যায় তাকে জানাতে বলেন। যার ফলশ্রুতিতে  বিকেলে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভিসিসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সার্বিক বিষয় তুলে ধরলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন সমাপ্ত ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের ইসমাইল (ইমন) শনিবার (৫ নভেম্বর) রাতে সাকুরা পরিবহনে ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে আসছিলেন।এ সময় মাধবপুরে আসার পর সাকুরা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে আহত হন ইমন। পরে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হলে তাকে রাজধানীর কল্যাণপুরে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটালে ভর্তি করা হয়। সহপাঠী সূত্রে জানা যায়, মাথা ও নাকে গুরুতর জখম হয়েছিলেন তিনি। রোববার পরিচয়ের অভাবে ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে তার চিকিৎসার সুযোগ মেলেনি। 

৮ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২ টায়  ইমন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।ইমনের মৃত্যুর সংবাদে  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং ৮èভেম্বর সন্ধ্যায় নিহত পরিবারকে ক্ষতিপূরন দেয়া, সাকুরার রুট পারমিট বাতিল ও চিকিৎসায় অবহলোর তদন্ত সহ পাঁচদফা দাবিতে বরিশাল -কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তাদের অনুরোধ সত্তেও আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টা অবরোধের পর বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর আশ্বাসে ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। 

মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে এই ঘটনার যৌক্তিক সমাধান করবেন বলে আশস্থ করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে সকালে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের মধ্যস্ততায় তার  কালীবাড়ি রোডস্ত বাসভবনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি, সাকুরা পরিবহনের মালিক পক্ষ,  বিশ্বিবদ্যালয় প্রশাসন,  স্থানীয় প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তা ও ইমনের পরিবার নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।