আমিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির এমডি ও পরিচালক গ্রেপ্তার

আমিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির এমডি ও পরিচালক গ্রেপ্তার

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় আগুনে ব্যবসায়ী গাজী আনিসুর রহমানের (৫০) মৃত্যুর ঘটনায় আমিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নুরুল আমিন (৫৫) ও পরিচালক ফাতেমা আমিনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে বলে জানায় র‌্যাব। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

দুপুরে নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী ফাতেমা আমিনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলা করেন ওই ব্যবসায়ীর ভাই নজরুল ইসলাম।

এর আগে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার বলেন, আনিসুর রহমানের কাছ থেকে হেনোলাক্স কোম্পানি (আমিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির) এমডি ও পরিচালক মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে ফেরত দেননি বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এ কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন আনিসুর রহমান। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আনিসুর লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। তার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। 

আনিসুরের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায়। তিনি ঠিকাদারির ব্যবসা করতেন বলে জানা গেছে।

আনিসুর কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। তিনি ১৯৯৩ সালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য।

স্বজনরা জানান, হেনোলাক্স গ্রুপের মালিকের কাছে ব্যবসার উদ্দেশ্যে ২০১৮ সালে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা দেন আনিসুর।সেই টাকা এখন লাভসহ তিন কোটি হয়েছে। ওই টাকা না পেয়ে এর আগে আনিসুর সংবাদ সম্মেলনও করেছিলেন। হ্যানোলাক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলা করেন আনিসুর। সে মামলা চলমান আছে।