কুয়াকাটার সৈকতে ভালোবাসার ঢেউ

ভালবাসা দিবসের ঢেউ লেগেছে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সৈকতে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজার হাজার পর্যটকদের পদভারে মুখরিত সৈকত। সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে তরুণ-তরুণীরা গা ভাসিয়ে আনন্দ-উচ্ছাসে মেতেছে। কেউ সমুদ্রস্নানে মেতেছেন, কেউবা সৈকতের বালুতে পা ডুবিয়ে আনন্দে আত্মহারা। কেউ কেউ কাছাকাছি গা ঘেঁষে স্মার্টফোনে সেলফি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড দিয়ে বিশেষ এই দিনটি স্মৃতির ক্যালেন্ডারে যোগ করে দিচ্ছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকে বসন্তবরণ আর বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে কুয়াকাটা পর্যটদের উপচেপড়া ভিড় রয়েছে। সৈকতসহ দর্শনীয় স্থানে নেচে-গেয়ে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উদযাপন করেছে অগণিত পর্যটক যুগল। আবাসিক হোটেল-মোটেল, খাবার হোটেল ও বিপণি বিতানগুলোতেও পর্যটকের পদচারণায় তিল ধারনের ঠাঁই ছিল না। যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নে পর্যটক সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ দিবসের কারণে আগমন বাড়ছে দর্শনার্থীদের। আর এসব পর্যটকদের বাড়তি নিরাপত্তায় পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশ কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করেছে।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, বসন্তবরণ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে পর্যটকের ব্যাপক চাপ রয়েছে। হোটেল-মোটেল ইতিমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে। সপ্তাহজুড়ে পর্যটকের আগমন ঘটবে বলে আশা করছেন তারা।
সুস্মিতা মৌ দম্পতি জানান, বিয়ে হয়েছে মাত্র ক'দিন আগে। আমাদের সিদ্ধান্ত ছিলো ভালবাসা দিবসে কুয়াকাটা থাকবো। তাই এখানে এসেছি। এখানকার সবকিছুই সুন্দর, ভাল লেগেছে।
কুয়াকাটা ইলিশ পার্কের পরিচালক রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, বসন্তবরণ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালনের লক্ষ্যে পার্কের মধ্যে কাপল মেলার আয়োজন করা হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় পর্যটকের বেশ চাপ রয়েছে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল মালিক অ্যাসোশিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল মোতালেব শরীফ জানান, রাখাইন মার্কেট, ঝিঁনুক মার্কেট, শুটকি মার্কেট, আবাসিক এবং খাবার হোটেলসহ সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সেজেছে অপরূপ সাজে। পর্যকদের বাড়তি বিনোদনে অনেক প্রতিষ্ঠান নানা আয়োজন করেছে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ হোটেল-মোটেল-কটেজের কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনিবুর রহমান জানান, পর্যকদের নিরাপদ ভ্রমণসহ বসন্তবরণ ও ভালবাসা দিবস উদযাপনে জেলা পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ, র্যাব, ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় নেয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।