ছাত্রকে হেনস্তার অভিযোগ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে

ছাত্রকে হেনস্তার অভিযোগ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ৮ম ব্যাচের ছাত্র এবিএম মুশফিকুর রহমানের শার্টের কলার ধরে টেনে অফিস কক্ষে নিয়ে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে আইন বিভাগের শিক্ষক সুপ্রভাত হালদারের বিরুদ্ধে। সহপাঠী এবং ছোট ভাইদের সামনে এমন হেনস্তার ঘটনায় উপাচার্যের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ওই ছাত্র। তবে বিষয়টি সেফ্র ভুল বোঝাবুঝি থেকেই হয়েছে এবং এমন ঘটনা সমাধান যোগ্য বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর। 

মুশফিকুর রহমান জানান, একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে তিনি বন্ধুদের সাথে দেখা করতে একই ভবনের ৪র্থ তলায় আইন বিভাগের সামনে যান। সেখানে তার সহপাঠী ও বন্ধুরা পরীক্ষার হল থেকে বেড়িয়ে হৈ চৈ করছিলো। তাদের সাথে কথা বলে চলে যাওয়ার সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই সুপ্রভাত হালদার তার শার্টের কলার ধরে তাকে আইন বিভাগের অফিস কক্ষে নিয়ে যান। শিক্ষককে চিনতে না পাড়ায় প্রতিবাদ করেন তিনি। অফিস কক্ষে প্রায় ১০ মিনিট অবরুদ্ধ রেখে ওই শিক্ষক তাকে বকাঝকা করেন এবং শিক্ষা জীবন শেষ করে দেয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ মুশফিকের। খবর পেয়ে প্রক্টর সেখানে গিয়ে তাকে তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে সমবেদনা জানান। কিন্তু বন্ধু ও সহপাঠীদের সামনে হেনস্তা হওয়ার বিষয়টি মাথা থেকে ফেলতে পারেননি তিনি। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। 

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সুপ্রভাত হালদারের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে প্রক্টর ড. মো. খোরশেদ আলম বলেন, ক্লাশ নেয়ার সময় বাইরে হৈ চৈ করায় শিক্ষক তাদের একটু বকাঝকা করেছেন। ওই ছাত্রও শিক্ষককে চিনতে পারেননি। এ কারণে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এ বিষয়টি সমাধান যোগ্য। ওই ছাত্রের লিখিত অভিযোগের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি। 

এর আগেও সাম্প্রতিক একটি ক্রীড়া অনুষ্ঠানে একদল শিক্ষার্থীকে দিয়ে কিছু শিক্ষার্থীকে শারীরিকভাবে নিগৃহের অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সুপ্রভাব হালদারের বিরুদ্ধে।