ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা উদ্ধারে বিলম্বের কারণ জানাল কর্তৃপক্ষ

ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা উদ্ধারে বিলম্বের কারণ জানাল কর্তৃপক্ষ

প্রতিকূল আবহাওয়া ও পরিকল্পনা অনুযায়ী অভিযান চালাতে না পারায় মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ডুবে যাওয়া ফেরি উদ্ধারে সময় লেগেছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। আর ফেরি ডুবিতে কারো গাফিলতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার কথা বলছে বিআইডব্লিউটিসি। ফেরি উদ্ধারে দেরি হলেও তাদের কাজে সমন্বয়হীনতা নেই বলে দাবি সংস্থা দুটির।

গত ১৭ জানুয়ারী সকাল সাড়ে ৮টায় মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরি ঘাটের কাছে নোঙর করা ফেরি রজনীগন্ধা নয়টি যানবাহন নিয়ে ডুবে যায়। 

ফেরি উদ্ধারে একে একে যোগ দেয় জাহাজ হামজা, রুস্তম, প্রত্যয় ও ঝিনাই-১। ২৪ জানুয়ারি অষ্টম দিনের অভিযানে ডুবন্ত ফেরিটি উদ্ধার করা হয়। এর আগেই উদ্ধার হয় ৯টি যান।

ফেরি উদ্ধারে দেরির কারণ হিসেবে প্রতিকূল আবহাওয়াকে দায়ি করছে বিআইডব্লিউটিএ। পাশাপাশি পরিকল্পনা অনুযায়ী অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি বলেও জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান। তবে কোনো পক্ষের মাঝে কাজের সমন্বয়হীনতা ছিল না বলে দাবি তার।

সংস্থাটির চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেন, ‘যেভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল সেটা আমরা করতে পারিনি। আমরা প্রথমে বাতাস দিয়েছিলাম, বাতাস দিয়ে প্রথমেই যদি এটা লিফট হয়ে যেত তাহলে নির্দিষ্ট সময়েই করতে পারতাম। কিন্তু সেটা প্রথমে পারিনি বিভিন্ন কারণে। এজন্য এটা একটু সময় বেশি লেগেছে।’ 

ডুবে যাওয়া ফেরিটির বিশেষ ক্ষতি হয়নি, আবারও তা ব্যবহার করা যাবে, জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি। ফেরি ডুবিতে কারো গাফিলতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সংস্থাটির চেয়ারম্যান এ কে এম মতিউর রহমান বলেন, ‘দায়িত্বে কারও গাফিলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অলরেডি যিনি এটির মাস্টার ছিলেন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কারণ হয়কি একটি রিপোর্টের পরে একজন মানুষকে অপরাধি চিহ্নিত করার আগে কিছু এভিডেন্স থাকতে হয়। সেভাবেই আমরা আগাচ্ছি।’ 

এদিকে, উদ্ধার কাজে দেরি হওয়ায় জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় ৭ কর্মদিবস বাড়ানো হয়েছে।

মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা জেসমিন বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে আমরা এখন ডিসক্লোজ করছি না কি কি পেয়েছি। আমাদের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। বারবার এখানে আসার কারণ হচ্ছে আমরা যেটা পাব, অথেনটিক, সেই কারণই আমরা প্রতিবেদনে উল্লেখ করব। এখানে কারও কোনো শঙ্কা থাকাটাই উচিৎ হবে না।’ 

ফেরি ডুবির ঘটনায় বিআইডব্লিউটিসির পক্ষ থেকেও কাজ করছে আরেকটি তদন্ত কমিটি।