ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের ‘উষা বরণ’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের ‘উষা বরণ’

বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং শীতকালীন উৎসব আমেজের মধ্য দিয়ে "ঊষা" নামধারী নবীনতম ব্যাচের সদস্যদের বরণ করে নিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ' এর নবীন বরণ অনুষ্ঠান ‘ঊষা বরণ'।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ সামাদ। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। 

এছাড়াও  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পরিচালক জনাব খোরশেদ আলম, খ্যাতিমান অভিনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মনোজ কুমার প্রামাণিক এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালক ও চলচ্চিত্র অভিনেতা জুলহাজ্জ জুবায়ের। উৎসবমুখর এই আয়োজনের সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের মাননীয় মডারেটর এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী।

ঢাবি সাংস্কৃতিক সংসদ কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি সাদিয়া আশরাফি থিজবী বলেন, বছরব্যাপী বিভিন্ন আয়োজন ও পরিবেশনার মাধ্যমে বাংলা সংস্কৃতিচর্চার পাশাপাশি সর্বত্রই বাঙালিয়ানার ছাপ ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ’। সংগঠনের বিভিন্ন ব্যাচের নামকরণেও সেই প্রচেষ্টা দৃশ্যমান। বাংলা বর্ণমালার বিভিন্ন বর্ণ দিয়ে ধারাবাহিকভাবে করা হয় বিভিন্ন ব্যাচের নামকরণ। অয়োময়, আত্রেয়ী, ইচ্ছামতী, ঈশাণ, উচ্ছ্বাস ইত্যাদি ব্যাচের ধারাবাহিকতায় সময়ের পরিক্রমায় নতুন আরেকটি ব্যাচ ‘ঊষা’র সদস্যদের পদচারণায় আরও সমৃদ্ধ হলো আমাদের এই পরিবার।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে আমাদের অবিরাম চেষ্টা বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির সম্মিলনের মধ্য দিয়ে তারুণ্যের মনস্তত্বে আলোড়ন তৈরি ও আলোকিত করা। আজ নবীন বরণের মধ্য দিয়ে আমাদের এই প্রচেষ্টা আরো একধাপ এগিয়ে গেলো। 

অনুষ্ঠানে প্রধান উপস্থিত হিসেবে উপস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. আব্দুস সামাদ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে উল্লেখ করেন, "ধর্ম,রাজনীতি,সংস্কৃতি আমাদের জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বাঙালি মানে বাংলাদেশের বাঙালি - হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিস্টান, মুসলমান নির্বিশেষে আমরা সবাই বাংলাদেশের। এই বাঙালি সত্তার চর্চা করা আমাদের নাগরিক দায়িত্ব। "আমি তোমাদের কবি" নামক স্বরচিত কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।

অনুষ্ঠানে সংগঠনদের সক্রিয় সদস্যদের সেরা সদস্য সম্মাননা প্রদান করা হয় এবং বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়। 

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ যাত্রার শুরু থেকেই সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা ও স্বকীয়তার সুস্থ চর্চায় সচেষ্ট। নিজেদের আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দেশব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় তাদের অংশগ্রহণ ও পরিবেশনা প্রশংসনীয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির সহাবস্থানে সম্প্রীতি চর্চা ও অসাম্প্রদায়িকতার আদর্শ তরুণদের মাঝে প্রসারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে।