তরমুজ লুট করার সময় বাধা দেওয়ায় চাষিকে কুপিয়ে জখম

বরগুনার সদর উপজেলায় ক্ষেতের তরমুজ লুট করার সময় বাধা দেওয়ায় চাষিকে কুপিয়ে জখম করেছেন দুর্বৃত্তরা। তাকে প্রথমে বরগুনা হাসপাতালে, পরে সেখান থেকে বরিশাল পাঠানো হয়েছে।
সোমবার রাতে সদরের ঢলুয়া ইউনিয়নের ফুল ঢলুয়া স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত চাষি মিলন হাওলাদার ওই গ্রামের হামেদ হাওলাদারের ছেলে। অভিযুক্ত সাগর একই গ্রামের দেলোয়ার হাওলাদারের ছেলে। মিলন ও সাগর সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল মান্নান জানান, সন্ধ্যার পরপরই ৫-৭ জন অপরিচিত ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে মিলনের তরমুজ খেত লুট করতে যায় সাগর। এতে বাধা দিলে মিলনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। এ সময় কয়েকজন এগিয়ে গেলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদেরকেও তাড়া করে। ডাক-চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরে মিলনকে উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চাষি মিলনের মা রওশনারা বেগম বলেন, শুধু তরমুজ লুট না, মূলত আমার ছেলেকে হত্যা করতে চেয়েছিল তারা। আমার ছেলের অবস্থা সংকটাপন্ন। বরগুনা থেকে বরিশাল ও পরে ঢাকায় নিয়ে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
ঢলুয়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক স্বপন বলেন, এক তরমুজ চাষির কাছে গিয়ে তরমুজ দাবি করছে তারা। তরমুজ না দেওয়ায় চাষিকে কুপিয়েছে। তারা এলাকার কিশোর গ্যাং নামে পরিচিত। এর আগেও অনেকবার মারামারি করেছে। তাদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া দরকার।
এ বিষয় জানতে অভিযুক্ত সাগরের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক দাবি স্থানীয়দের। তবে এ বিষয় সাগরের দাদি আইফুল বেগম বলেন, আমার নাতি এমন কাজ করতেই পারে না। কারা না কারা এ কাণ্ড ঘটিয়েছে, সে দায় আমাদের ওপর দিচ্ছে।
বরগুনা সদর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।