দায়িত্ব হারালেন ফরাসি ফুটবল প্রেসিডেন্ট
ফুটবল কিংবদন্তি জিদানকে নিয়ে অপ্রীতিকর মন্তব্য করে আলোচনায় আসা ফরাসি ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট নোয়েল লে গ্রেতকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার এফএফএফ’র নির্বাহী কমিটির জরুরী সভার পর দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে ভাইস-চেয়ারম্যান ফিলিপ দিয়ালোকে। খবর রয়টার্সের।
জিদানকে নিয়ে অপ্রীতিকর মন্তব্য করে এবার ক্ষমা চাওয়া নোয়েল লে গ্রেতের বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগও রয়েছে। যদিও তিনি সেটা অস্বীকার করেছেন। মূলত জিদানকে নিয়ে অপমানসূচক মন্তব্য করেই গত কয়েকদিনে ভীষণ চাপে পড়েন লা গ্রায়েত। তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন খেলোয়াড় থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদরাও। ঘটনার সূত্রপাত কাতার বিশ্বকাপের শেষে। ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাজে টাইব্রেকারে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করে ফ্রান্স। বর্তমান কোচ দিদিয়ের দেশমের ভবিষ্যত নিয়েও দেখা দেয় শঙ্কা। শোনা যাচ্ছিল দেশমের পরিবর্তে ফ্রান্স দলের দায়িত্বে আসতে পারেন জিদান। ফরাসি এই কিংবদন্তি নিজেও জাতীয় দলের কোচ হওয়ার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।
তবে নোয়েল লে গ্রেত বলেছেন, ‘কোচ হিসেবে জিদানের নাম সবসময় আলোচনার মধ্যে ছিল। কারণ তার অনুসারীরা দেশমের অব্যহতির অপেক্ষা করছিল। কিন্তু কেউ কি আসলেই দেশমকে সমালোচনা করতে পারবেন? কেউ পারবেন না! কারণ দেশমকে নিয়ে বড় কোনো সমস্যাই নেই।’ নোয়েল আরও বলেছিলেন, ‘এ বিষয়ে আমি ভাবছি না। জিদান যেখানে ইচ্ছা সেখানে যেতে পারেন। সেটা যেকোনো ক্লাব কিংবা জাতীয় দল হতে পারে। তাকে নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।’
কিংবদন্তি জিদানকে নিয়ে করা এম তাচ্ছিল্যভরা মন্তব্য সহজভাবে নিতে পারেননি তরুণ ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে। তিনি টুইটারে বলেছেন ‘জিদান মানেই ফ্রান্স। তার মতো কিংবদন্তিকে এভাবে অসম্মান করা মোটেও কাম্য নয়।’ এরকম সমালোচনার মুখে পড়েই ক্ষমা চান ফরাসি ফুটবল ফেডারেশনের বড় কর্তা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি, এবার পদ হারাতে হলো তাকে।