দৌলতখানে সালিশ বৈঠকে মারধর

ভোলার দৌলতখানে পারিবারিক কলহের ঘটনায় গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে শ^শুর পক্ষের লোকজনের মারধরে মেয়ের জামাতাসহ তিনজন আহত হয়েছে। আহতরা হলো, জামাতা মোশারফ (২৮) তার বড় ভাই হুমাইয়ুন কবির (৪০) ছোট বোন মারজান (২৫) তাদের উভয়ের পিতা:-মৃত আব্দুল মালেক । তারা দৌলতখান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সি বাড়িতে সালিশ বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোশারফ বাদী হয়ে দৌলতখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা আহত মোশারফ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার স্ত্রী তানিয়ার সাথে আমাদের পারিবারিক কোন্দল চলছে। এর মীমাংসার জন্য সকালে আমার শ^শুর লোকজন নিয়ে ইউপি সদস্য সফু ও ইউপি সদস্য আলমগীর সহ গণমান্য ব্যক্তিরা সালিশ বৈঠকে বসেন। এসময় আমার শ^শুর রফিক (৫৩), সেলক আজাদ (৩০), শাহিন(২৪) ও হান্নান সহ ১৫/২০ জন আমাদের উপড় অতর্কিত হামলা করে। এতে করে তাদের পিটুনীতে আমার বড় ভাই হুমাইন কবির,ছোট বোন মারজান ও আমি গুরুত্বর আহত হই।
অন্যদিকে রফিকের স্ত্রী রাজুফা জানান, তিন বছর পূর্বে একই ইউনিয়নের আব্দুল মালেকের ছেলে মোশারফের সাথে আমার মেয়ে তানিয়ার বিবাহ হয়। বিবাহর পর থেকে তাদের দাম্পত্য জীবনে সুখ বয়ে আনতে পাড়েনি। মেয়ের সুখের জন্য আমি বিভিন্ন সময় অর্থিক সহযোগীতা করেছি। তারপরও মোশারফের বড় ভাই হুমাইয়ুন কবির ও তার বোন মারজান বিভিন্ন সময় তাকে মারধর করতো। এনিয়ে আজকে সালিশ বৈঠক হয়েছে। এ সালিশ বৈঠকে তার মেয়ে তানিয়া ও স্বামী রফিকুল ইসলামকে পিটিয়ে আহত করেছে বলে তার অভিযোগ। সালিশ বৈঠকে থাকা উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সফু ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন জানান, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ আমরা উভয়ের জবানবন্দী নিয়েছি । সালিশ বৈঠকের শেষ আমরা এর পয়সালা দিব। এরমধ্যেই মোশারফ এর ভাই হুমাইন কবির ও তানিয়ার চাচা আমির হোসেনের মধ্যে কথার কাটাকাটির এক পর্যয়ে মারধরের ঘটনা ঘটে। মারধরের ঘটনাকে সামাল দিতে সালিশে থাকা গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ আমরা সার্বিকভাবে কাজ করেছি। তবে আজকে মারধরের ঘটনাটি দু:খজনক।
দৌলতখান থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাদিকুর রহমান জানান, এঘটনায় মোশারফ বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।