ধর্ষকের সাজা মৃত্যুদণ্ড আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন

ধর্ষকে র সাজা মৃত্যুদণ্ড করে জারি করা অধ্যাদেশেকে আইনে রূপান্তর করতে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
রোববার (২৫ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সচিবালয় থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা এতে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আইনটি অনুমোদনের কথা জানান।
দেশে সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গত ১২ অক্টোবর ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে বিদ্যমান আইনের একটি ধারা সংশোধন করে ধর্ষণে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়। এরপর ১৩ অক্টোবর আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে ‘সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২০’ জারি করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে একটি অর্ডিনেন্স করা হলো। যেহেতু তখন পার্লামেন্ট ছিল না সেজন্য এটা তখন অর্ডিনেন্স হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছিলো। আজকে সেটিই আইনের ড্রাফট হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আইন মন্ন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে চূড়ান্ত ভেটিং করে দেওয়া হয়েছে।
আইনে একটা ছোট জিনিস যুক্ত হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই অর্ডিন্যান্স যে বাদ হয়ে আইন হয়ে যাবে, কিন্তু অর্ডিন্যান্স চলাকালে যে কাজ-কর্মগুলোকে হেফাজত করা হয়েছে। আর অর্ডিন্যান্স রহিতকরণ হয়ে যাবে। আইনমন্ত্রী এটা যুক্ত করে দিয়েছেন।
আগামী ৮ নভেম্বর সংসদ অধিবেশন বসবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সংসদ অধিবেশন না থাকা অবস্থায় যখন কোনো অর্ডিনেন্স হয়, তাহলে পরবর্তী সংসদ অধিবেশন শুরু হলে প্রথম দিনই উপস্থাপন করতে হয়। সেই ড্রাফটাই আজ নিয়ে আসা হয়েছে। অর্ডিনেন্সকে আইনে রূপান্তর করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ভোরের আলো/টি/২৫/২০২০