পিবিআইয়ের মামলায় জামিন পাননি বাবুল

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় স্ত্রী হত্যা মামলায় কারাবন্দি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছেন চট্টগ্রামের আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. জেবুন নেসার আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। যদিও স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তার বর্তমানে ফেনী কারাগারে রয়েছেন।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, ‘পিবিআইয়ের এসপি নাইমা সুলতানার করা মামলায় জামিন আবেদন করলে আদালত তা না মঞ্জুর করেন। আমরা আদেশের অনুলিপি পাওয়ার পর উচ্চ আদালতে যাব।’
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আগেই জামিন পেয়েছিলেন বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাই। সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা আত্মসমর্পণ করে নতুন করে জামিনের আবেদন করেন। এরপর গত ৩ জানুয়ারি চট্টগ্রামের আদালত থেকে জামিন পান। বাবুল আক্তার এ মামলায় গ্রেপ্তার রয়েছেন। অপর আসামি প্রবাসী ইউটিউবার ইলিয়াস হোসাইনকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাবুল আকতারসহ অন্য আসামিরা মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করছেন। এর অংশ হিসেবে ইলিয়াস হোসেনকে দিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে ফেসবুক ও ইউটিউবে ডকুমেন্টারি ভিডিও প্রচার করছেন। ভিডিওতে যে বক্তব্য রয়েছে তার মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
এর আগে, গত বছরের ১৭ অক্টোবর রাতে নগরের খুলশী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি করেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর ইনচার্জ পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা।
এর আগে পিবিআই হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ৬ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছিলেন বাবুল আক্তার। স্বীকারোক্তি আদায়ে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে গত ৮ সেপ্টেম্বর এই আবেদন করেছিলেন তিনি। গত ১১ সেপ্টেম্বর একই আদালতে ফেনী কারাগারে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেন বাবুল। গত ২৫ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন খারিজ করে দেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত।