বরিশালের চরমোনাই দরবার শরীফের মাহফিল সমাপ্ত

বরিশালের চরমোনাই দরবার শরীফের মাহফিল সমাপ্ত


দেশ ও মুসলিম জাতির কল্যণ কামনার মধ্য দিয়ে বরিশালের চরমোনাই দরবার শরীফের ৩দিনব্যাপী মাহফিল সমাপ্ত হয়েছে। আখেরী মোনাজাতরত লাখো মুসুল্লীর আমীন আমীন ধ্বনিতে চরমোনাই আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।

শনিবার সকাল ৮টা ৪৪ মিনিটে আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তিন দিনের মাহফিল শেষ হয়েছে।

আখেরী মোনাজাতে পীর সাহেব চরমোনাই মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম ভারত, কাশ্মীর, মিয়ানমার, ফিলিস্তিন, সিরিয়াসহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের নিরাপত্তা ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করেন। মোনাজাতে পীর সাহেব মহান আল্লাহর কাছে সকলের কৃত পাপের ক্ষমা চান এবং প্রশাসন, পুলিশ ও সাংবাদিকদের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করেন। এ সময় মুসুল্লীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
 
আখেরী মোনাজাতের আগে এবারের মাহফিলের শেষ বয়ানে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, জীবনের প্রত্যেক কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য করতে হবে। তিনি হাদীস কোরআনের উদ্বৃতি দিয়ে মানুষের জীবনের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও রাস্ট্রীয় সব ক্ষেত্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। মৃত্যুর ভয়াবহতা, কবরের শাস্তি, হাশরের ময়দানে হিসেব দেয়ার ভয়াবহতা এবং জাহান্নামের ভয়ংকর শাস্তির কথা উল্লেখ করেন তিনি।
 
চরমোনাই মাহফিল আয়োজক কমিটির মিডিয়া সেল সদস্য কেএম শরীয়াতুল্লাহ উপরোক্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এবারের মাহফিলে অন্তত ৫ লাখ লোক নতুন করে পীরের মুরিদ হয়ে সবক গ্রহণ করেছেন। ১১ জন ব্যক্তি হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে পীরের হাত ধরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এছাড়া অভিভাবকদের মাধ্যমে মাহফিল ময়দানে অনেক বিয়ে পড়ানো হয়।

এদিকে আখেরী মোনাজাত শেষে নৌপথে বাড়ি ফেরার সময় হুরোহুরিতে চরমোনাই ঘাট সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে দুটি নৌকা ডুবে যায়। তবে দুই নৌকার সবাই তীরে উঠতে সক্ষম হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বরিশাল নৌ ফায়ার স্টেশনের অগ্নিঘাতক জলযানের টিম লিডার মো. হাবিবুর রহমান।