বরিশালে বগুড়ার কলেজ ছাত্রী নাজনীনের ময়না তদন্ত সম্পন্ন

বরিশালে বগুড়ার কলেজ ছাত্রী নাজনীনের ময়না তদন্ত সম্পন্ন

বরিশালে নববিবাহিত স্বামীর বাড়ি এসে নির্মমভাবে খুন হওয়া বগুড়ার কলেজ ছাত্রী নাজনীন আক্তারের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পরে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষে নাজনীনের লাশ গ্রহণ করেন তার বড় ভাই আব্দুল আহাদ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে তার মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। 
এর আগে গত বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের হরহর গ্রামের একটি ধান ক্ষেত থেকে নাজনীনের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গত ২৪ মে হরহর গ্রামে বাবা করিম হাওলাদারের ভাড়া বাসায় তার ছেলে সাকিব হোসেন নববিবাহিতা স্ত্রী নাজনীনকে শ^াস রোধ করে হত্যা করে।
নাজনীন বগুড়া সদরের সাবগ্রাম এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফের মেয়ে এবং বগুড়ার গাবতলী সৈয়দ আহম্মেদ কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। অপরদিকে অভিযুক্ত সাকিব বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার নতুন চরজাহাপুর গ্রামের করিম হাওলাদারের ছেলে। সাবিক বগুড়ার জাহাঙ্গীরাবাদ ক্যান্টনমেন্টে ঝাড়–দার পদে কর্মরত ছিলো।

 গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় ও প্রেমের সূত্র ধরে গত বছর পহেলা অক্টোবর ভূয়া ঠিকানা ব্যবহার করে নাজনীনকে বিয়ে করে সাকিব। গত ২৪ মে তার বাবার অসুস্থ্যতার কথা বলে নাজনীনকে বগুড়া থেকে বরিশালের বাটাজোরে বাবার ভাড়া বাসায় নিয়ে আসে সাকিব। এর পর থেকে উভয়ের মুঠোফোন বন্ধ ছিলো। এই ঘটনায় নাজনীনের বাবা আব্দুল লতিফ গত ২৬ মে বগুড়া সদর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। পরে পুলিশ সাকিবকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে নাজনীনকে গলায় ফাঁস ও বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করে। নিজেকে অবস্থা সম্পন্ন পরিবারের ছেলে পরিচয় দিয়ে নাজনীনকে বিয়ে করলেও বাড়িতে আসার পর তাদের ঘর ও আর্থিক দুরাবস্থা দেখে ঝগড়ার এক পর্যায়ে রাগের মাথায় স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে সে। 

বগুড়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা জানান, নাজনীনের বাবার দায়ের করা সাধারণ ডায়েরীর সূত্র ধরে স্বামী সাকিব হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী হত্যা কথা স্বীকার করেছে। নাজনীনকে হত্যার পর লাশ গুমের ঘটনায় সাকিবের বাবা-মাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।