বরিশালে বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ভীড়

বরিশালে বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ভীড়
ঈদে এবং ঈদের পরদিন নগরের বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভীড়। পরিবার, বন্ধু-স্বজনদের ভীড়ে কোন কোন বিনোদনকেন্দ্র জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে নগরের প্রাণকেন্দ্র বঙ্গবন্ধু উদ্যান এবং ত্রিশগোডাউন এলাকা কীর্ননখোলার পাড়ে দর্শনার্থীদের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ঈদের দিন বিকেলে অভিভাবকরা শিশুদের নিয়ে শিশুপার্কসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছেন। সদ্য চালু হওয়া বরিশাল নগরের আমানতগঞ্জ শহীদ সুকান্ত বাবু শিশু পার্ক, নগরের বান্দরোড সংলগ্ন গ্রীণ সিটি শিশু পার্ক শিশুদের পদচারণায় মুখর ছিল। ঈদের পরের দিন বৃহষ্পতিবার দুপুরের পর থেকে ভীড় বাড়তে থাকে বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে। যারমধ্যে বেশিরভাগ বিনোদনকেন্দ্রে। বিনোদনকেন্দ্র ছাড়াও বরিশালের একমাত্র প্রেক্ষাগৃহ অভিরুচি, খাবারের দোকানে ঘুরে ঘুরে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের খুশি ভাগ করে নিতে দেখা গেছে অনেককেই। নগরের বিনোদনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই উম্মুক্ত ও প্রাকৃতিক পরিবেশে সমৃদ্ধ। যার মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু উদ্যান, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, স্বাধীনতা পার্ক, ত্রিশ গোডাউন, মুক্তিযোদ্ধা কাঞ্চন পার্ক, প্লানেট ওয়ার্ল্ড, কালিজিরা ব্রীজ, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ব্রীজ, চৌমাথা লেক, কীর্তনখোলা নদী ও নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকা। বরিশালের এসব বিনোদন স্পটের দুই-একটি বাদ দিলে বাকিগুলোতে টিকিট কাটা, লাইনে দাঁড়ানোর কোন ঝক্কি-ঝামেলা নেই। তাই স্বজনসহ সবাই ভীড় জমায় এসব স্পটে। নগরের বাহিরে বাবুগঞ্জ উপজেলাধীন দুর্গাসাগর, উজিরপুরের বায়তুল আমান (গুঠিয়া) জামে মসজিদ, দোয়ারিকা-শিকারপুর সেতুসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রতœতাত্মিক স্থাপনা ঘিরে বিনোদনমুখী মানুষের ভীড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। নয় বছরের শিশু সাদিয়াকে সঙ্গে নিয়ে শহীদ সুকান্ত বাবু শিশুপার্কে আসা মাইনুল হোসেন বলেন, নগরের উত্তর প্রান্তে কোন শিশুপার্ক ছিলো না। বাড়ির পাশে নতুন এই শিশু পার্ক স্থাপন হওয়ায় আমদেরে আর দক্ষিণ প্রান্তে যেতে হচ্ছে না। তা ছাড়া টিকিট সিস্টেম না থাকায় ধনী-গরীবের ব্যবধানও নেই এখানে। নগরের কীর্তনখোলা নদী তীরের মুক্তিযোদ্ধা পার্ক ছাড়া বিভিন্ন স্পটে পরিবার-পরিজন ছাড়াও বন্ধু ও প্রিয়জনকে নিয়েও ঘুরতে এসেছেন অনেকে। নৌকা ও ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে অনেকেই স্বজনদের নিয়ে কীর্তনখোলা নদীতেও ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ঢাকায় থাকা নতুন উদ্যোক্তা অমিত হাসান অভি বলেন, ঈদ এবং কোরবানীতে বরিশালে ছুটে আসতেই হয়। তার কারণ বন্ধুবান্ধব মিলে বঙ্গবন্ধু উদ্যান, ত্রিশগোডাউন ও কীর্তনখোলায় ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ আর কোথায় পাওয়া যায় না। এবছর এসএসসি ৯১ ব্যাচের সব বন্ধুরা মিলে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জমিয়ে আড্ডা দিয়েছি। এরপর যাব কীর্তনখোলায় নৌকা নিয়ে বোড়াতে। নগরের ত্রিশ গোডাউন এলাকায় প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখাতে আসা জেরিন সুফিায়ান বলেন, আামদের ইন্মুক্ত বিনোদন স্থানের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ত্রিশগোডাউন। এখানে একদিকে কীর্তনখোলা নদীর সৌন্দর্য, অন্যদিকে প্রকৃতির সবুজ ছায়া। সবমিলে বন্ধুদের নিয়ে বেড়ানোর চমৎকার একটা স্থান। প্রতিবছর এখানে আসি আমরা। অপরদিকে ঈদে নগরজুড়ে বিভিন্ন ফুড কোর্ট ও রেস্টুরেন্টেও ভীড় বেড়েছে । বেড়েছে নগরের একমাত্র সিনেমাহল অভিরুচিসহ বিভিন্ন উপজেলার সিনেমাহলগুলোতে দর্শকদের পদচারণা। আলেকান্দা এলাকার বাসিন্দা সজিব জানান, ঈদে ঢাকা থেকে বরিশালে স্বজনদের সাথে ঈদ করতে। আর বন্ধুরা মিলেই হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নিলাম আজ দুপুরেই হলে সিনেমা দেখবো।