বরিশালে লকডাউন অকার্যকর, খোলার আগেই খুলছে দোকান

করোনা সংক্রমণ এড়াতে গত ২৫দিন ধরে লকডাউন চলছে বরিশালে। কিন্তু মানুষজনের চলাচলের কারণে লকডাউন অনেকটা অকার্যকর হয়ে পড়েছে। কিছু দোকান ব্যতিত নগরীর অনেক এলাকায় কৌশলে খোলা রাখা হচ্ছে দোকানপাট-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। দিন দিন রাস্তায় বাড়ছে মানুষ এবং যানবাহনের সংখ্যা। আনুষ্ঠানিকভাবে খোলার আগেই খুলছে দোকান।
আগে জেলা প্রশাসন লকডাউন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করলেও এখন অনেকটাই শিথিল তাদের কার্যক্রম। লকডাউন বাস্তবায়নে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়িও কমে গেছে। অবাধ চলাচল রোধে তাদের কোন ভূমিকা দেখা যায় না।
গত ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো বরিশালে দুইজন করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ায় ওই দিন রাত থেকে নগরী সহ পুরো জেলা লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। গত ২৫ দিনে বরিশাল নগরীসহ পুরো বিভাগের করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২৫জন মানুষ। এই সময়ে মারা গেছেন করোনা আক্রান্ত ৭জন। অথচ দিন দিন ঢিলেঢালা হচ্ছে লকডাউন। উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। তবে করোনা নিয়ে জনসচেতনতা বেড়েছে বলে দাবী জনগণের।
প্রথম দিকে লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকায় মানুষজনও অনেকটা ঘরে উঠে যায়। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া তেমন একটা ঘর থেকে বের হয়নি কেউ। কিন্তু ধীরে ধীরে মানুষজন অসিহষ্ণু হয়ে পড়েছে। তাদের অনেকে প্রয়োজন মেটাতে পারছে না বদ্ধ ঘরে। এ কারণে রুটিরুজিসহ নানা প্রয়োজনে ঘর থেকে বেড়িয়ে আসছে মানুষ। খুলতে শুরু করেছে দোকানপাট। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১০ মে থেকে দোকান খোলা রাখতে বললেও তার আগে থেকেই নানা কৌশলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন দোকানীরা।
নগরীর চৌমাথা এলাকার সোনালী ব্যাংকে বয়স্ক ও বিধবা ভাতার টাকা উত্তোলন করতে সহ¯্রাধিক মানুষের ভীড় দেখা যায়। প্রায় প্রতিটি সরকারি ব্যাংক, বিশেষ করে সোনালী ব্যাংকে বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তার ভাতা তুলতে মানুষের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
বিশেষ করে নগরীর হেমায়েত উদ্দিন রোড, চকবাজার, কাঠপট্টি, বাজার রোড, পদ্মাবতিসহ বিভিন্ন এলাকায় ঈদ বাজারের মতো আমেজ এবং ভীড় দেখা গেছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর প্রধান প্রধান রাস্তাঘাটের চিত্র দেখলে লকডাউনের সংজ্ঞা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়বেন যে কেউ। তবে গতকাল জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে শারীরিক দূরত্ব অনুসরণ, গণজমায়েত রোধে জনচসেচতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে মাইকিং করে।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমূল হুদা বলেন, করোনা সংক্রমণ এড়াতে তারা জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছেন। সচেতন থাকতে বলছেন।