বরিশালে লকডাউন উপক্ষো, জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯

বরিশালে লকডাউন উপক্ষো, জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯

করোনা সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে বরিশাল জেলায় লকডাউনের তৃতীয় দিন অতিবাহিত হয়েছে। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী এই সময়ে সাধারণ মানুষের ঘরে অবস্থানের কথা থাকলেও বরিশালের চিত্র ভিন্ন।

আজ বুধবারও বরিশালের রাস্তায় বিপুল সংখ্যক মানুষ দেখা গেছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ির মধ্যেও অনেক মানুষ বাই সাইকেল, মোটর সাইকেল, রিক্সা এবং ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ে বাইরে বের হয়েছেন।

কেউ জরুরী প্রয়োজনে, কেউ বাজার করতে, অনেকে আবার বাইরে বের হয়েছেন নানা অজুহাতে। নগরীর সহ জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্ট স্থাপন করে বিভিন্ন যানবাহন আটকে দিচ্ছে। অপ্রয়োজনে যারা বের হয়েছেন তাদের বুঝিয়ে বাসায় ফেরত পাঠাচ্ছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

ওষুধ এবং মুদী দোকান ব্যতিত অন্যান্য দোকান খোলা রাখতে জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অনেক স্থানেই অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখতে দেখা গেছে। এ কারণে প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হলেও অসাধু দোকানীরা সুযোগ পেলেই দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করছেন।

এদিকে করোনার বিস্তার ঠেকাতে বরিশালের অনেক বাজার খোলা জায়গায় স্থাান্তর করা হলেও বরিশালের পোর্ট রোডের প্রধান ইলিশ মোকামের চিত্র আছে আগের মতোই। প্রতিদিন সকালে হাজারো মানুষের ভীড় হয় পোর্ট রোডের ইলিশ আড়তে। আড়তদার, পাইকর, খুচরা ব্যবসায়ী এবং ক্রেতার পদভারে আগের মতোই মুখরিত হয়ে ওঠে বরিশালের পোর্ট রোডের ইলিশ বাজার।

জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেছেন, অনেকেই লকডাউন মেনে চলছেন। কিছু মানুষ প্রয়োজনে এবং নানা অজুহাতে ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন। তাদের বুঝিয়ে ঘরে রাখার চেষ্টা চলছে। পোর্ট রোডের ইলিশ মোকামসহ অন্যান্য বাজারগুলোও খোলা জায়গায় স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জেলা প্রশাসক জানান।

গত রবিবার (১২ এপ্রিল) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে প্রথমবারের মতো ২জন করোনা রোগী সনাক্ত হওায় ওইদিন রাত থেকেই নগরীসহ পুরো জেলা লকডাউন ঘোষণা করে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারী করে জেলা প্রশাসন।

সব শেষ হিসেব অনুযায়ী গতকাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন সন্দেহভাজন ৯জন রোগী। এর মধ্যে ৫জন রোগীর দেহে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। সব শেষ খবর অনুযায়ী এই ৫জনসহ গতকাল দুপুর পর্যন্ত বরিশাল জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯জন।

অপরদিকে বরিশাল বিভাগে গতকাল বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ১৪জনের দেহে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে জানিয়েছেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।