বরিশালে আইসিইউ চালু থাকলেও স্থায়ী চিকিৎসক নেই

বরিশালে আইসিইউ চালু থাকলেও স্থায়ী চিকিৎসক নেই

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৮ শয্যার আইসিইউ’র ব্যবস্থা থাকলেও নেই কোন স্থায়ী চিকিৎসক। এরই মধ্যে নতুন করে পাঠানো আরও ১০টি আইসিইউ বেড স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় আইসিইউ সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন মুমূর্ষু রোগীরা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনুমোদিত জনবল কাঠামো (অর্গানোগ্রাম) না থাকায় আইসিইউ’তে স্থায়ী জনবল পাওয়া যায়নি। তবে অন্যান্য বিভাগের চিকিৎসকদের দিয়ে আইসিইউ সেবা চালু রাখা হয়েছে।

মূমূর্ষু রোগীর জীবন বাঁচাতে আইসিইউ (নীবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগে আইসিইউ’র ব্যবস্থা ছিলো না। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০১৭ সালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউ ওয়ার্ড চালু করা হয়। কিন্তু স্থায়ী জনবল না থাকায় জরুরী মুহূর্তে চিকিৎসকের অভাবে অনেকেই চলে গেছেন না ফেরার দেশে। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত না হওয়ায় হাসপাতালের ১০ শয্যার আইসিইউ’র সবগুলো ভেন্টিলেটরসহ আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে যায়। এ কারণে সেবা বঞ্চিত হচ্ছিলো মুমূর্ষু রোগীরা।

সাম্প্রতিক সময়ে করোনা মোকাবেলা প্রস্তুতির অংশ হিসেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজস্ব উদ্যোগে বিকল ১০টি’র মধ্যে ৮টি ভেন্টিলেটরসহ শয্যা মেরামত করে ব্যবহার উপযোগী করে।

এদিকে বরিশাল সদর আসনের এমপি ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের প্রচেষ্টায় প্রথম দফায় ১০টি আইসিইউ বেড এনে স্থাপন করা হয় হাসপাতালের নতুন চালু করা করোনা ওয়ার্ডে। দ্বিতীয় দফায় চলতি সপ্তাহে আসা আরও ১০টি আইসিইউ বেড স্থাপনের কাজ চলছে মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ডে। কিন্তু আইসিইউ বিভাগে স্থায়ীভাবে কোন চিকিৎসক পদায়ন না করায় হাসপাতালের আইসিইউ’র সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মুমূর্ষু রোগীরা।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন জানান, এ্যানেসথেসিয়া বিভাগের চিকিৎসক দিয়ে এবং ১০জন নার্সকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আইসিইউ সেবা চালু রাখা হয়েছে। হাসপাতালে ২৮ শয্যার আইসিইউ পুরোপুরি প্রস্তত আছে বলে পরিচালক দাবি করেন।