বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষ উদযাপন

বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষ উদযাপন

বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষ পালন করেছে প্রগতি লেখক সংঘ বরিশাল জেলা কমিটি এবং নীলু-মনু ট্রাস্ট ও পাবলিক লাইব্রেরি। অনুষ্ঠানে বক্তারা বরিশালে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ম্যুরালসহ ‘প্রাচ্যের ভেনিস বরিশালে স্বাগতম’ লেখা দুটি ‘স্বাগত তোরণ’ নির্মাণের দাবি করেছেন।

শনিবার বিকেলে কাউনিয়া মনসা বাড়ি রোডস্থ নীলু-মনু ট্রাস্ট ও পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নীলু-মনু ট্রাস্ট ও পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক নজরুল হক নীলু’র সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ, বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি কবি অপূর্ব গৌতমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আখম আব্দুর রব। ‘বিদ্রোহী’ কবিতার উপর আলোচনা করেন অধ্যক্ষ তপংকর চক্রবর্তী, অধ্যক্ষ গোলাম রব্বানী, অধ্যক্ষ মোতালেব হাওলাদার, গবেষক আনিচুর রহমান স্বপন, অধ্যক্ষ বিপুল বিহারী হালদার, কাজী মকবুল হোসেন, পাপিয়া জেসমিন, সুভাষ দাস নিতাই, টুনু রানী কর্মকার, শোভন কর্মকার কৃষ্ণ, মোস্তাফিজুর রহমান, শাহরুখ তমাল প্রমুখ।

‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি আবৃত্তি করে শোনান অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান খোকন, নজরুল গীতি পরিবেশন করেন শিল্পী দীপ্তি ঘোষ ও শেখ নাসের জামাল।

বক্তারা বলেন, আজ থেকে শতবর্ষ আগে মানুষ যখন নির্যাতিত হয়েছিল, নিপীড়িত হয়েছিল তখন যুবক কাজী নজরুল ইসলাম সেই নির্যাতনের বিরুদ্ধে, নিপীড়ণের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, শোষণের বিরুদ্ধে কবিতার মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছিলেন। তার অমর সৃষ্টি সেই ‘বিদ্রোহী’ কবিতা তখন মানুষদেরকে সাহসী হতে, প্রতিবাদী হতে প্রেরণা জুগিয়েছিলÑ যা আজও বহমান। আজও আমরা শোষণ নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পাইনি। ‘বিদ্রোহী’ কবিতা আজও আমাদের বিদ্রোহী হতে প্রেরণা জোগায়। আমাদের উচিত আরও বেশি করে নজরুল চর্চা করা এবং তার প্রদর্শিত পথে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে চলা। স্ব স্ব অবস্থান থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, শোষণের বিরুদ্ধে কথা বলা।

সভায় বক্তারা বরিশাল বিমান বন্দর এবং নৌ-বন্দর এলাকায় কাজী নজরুল ইসলামের ম্যুরাল সম্বলিত ‘প্রাচ্যের ভেনিস বরিশালে স্বাগতম’ লেখা দু’টি ‘স্বাগত তোরণ’ নির্মাণের দাবী জানান।