ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি : মোমেন

ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
কিছু এনজিও ও বিদেশি সংস্থার চাপে এ স্থানান্তর প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। তাদের জন্য যে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, তা খুবই উন্নতমানের। শিগগিরই রোহিঙ্গাদের সেখানে স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
রোববার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী কলেজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে তিনি রাজশাহী কলেজ শিক্ষকদের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা এখন যেখানে আছেন, সেখানে তিনবেলা খাচ্ছেন আর নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন। ভাসানচর চমৎকার জায়গা। এখন পর্যন্ত ৩০৬ জনকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে বসবাস করা রোহিঙ্গা নারীরা কাজ শুরু করেছেন। অনেক রোহিঙ্গা সেখানে যেতে ইচ্ছুক তবে বেশকিছু এনজিও ও বিদেশি শক্তি তাদের ভাসানচরে যেতে নিরুৎসাহিত করছেন। তবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আগামীতে যুক্তরাষ্ট্রের যথেষ্ট সহযোগিতা পাবো।
সদ্য সমাপ্ত যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন প্রশ্নে মোমেন বলেন, পণ্য রফতানিতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারের কাছে ট্যারিফ কমানোর দাবি থাকবে। দেশটিতে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে জিএসপি (জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্সেস) সুবিধা আমাদের জন্য বড় বিষয় নয়। আমরা যে পরিমাণ রফতানি করি, সেটা বহাল রাখটাই এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এসময় মন্ত্রী তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ভারতের আভ্যন্তরীণ জটিলতা থাকায় তিস্তা চুক্তি এখনও স্বাক্ষর করা সম্ভব হয়নি। তবে যেকোনো সময় তা হতে পারে। এ জন্য আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন বলেও মন্ত্রী মন্তব্য করেন।
পরে রাজশাহীর বরেন্দ্র জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এরপর রাজশাহী কলেজের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন। পর ক্যাম্পাসে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন এবং কলেজ অধ্যক্ষ মুহা. হবিবুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে একটি গাছের চারা রোপন করেন। সবশেষে শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন।