রাজশাহীতে টিকটকারদের তালিকা করছে পুলিশ

টিকটক ভিডিও বানিয়ে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া তরুণ-তরুণীদের বিপথগামী করার অপরাধে নয়জনকে আটক করেছে রাজশাহী নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এদের মধ্যে তিন তরুণীও রয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহীতে ৫০০ টিকটক ব্যবহারকারীর তালিকা তৈরি হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নগরীর পদ্মা গার্ডেন, ভদ্রা পার্ক, জিয়া পার্ক ও বিমান চত্বর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
বুধবার দুপুরে এ বিষয়ে মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, রাজশাহীতে টিকটক ভিডিও বানানোর সঙ্গে প্রায় ৫০০ ছেলেমেয়ে জড়িত রয়েছে। যাদের বেশিরভাগই অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী। তাদের তালিকা তৈরির চেষ্টা চলছে। আপনাদের মাধ্যমে তাদের প্রতি আমাদের বার্তা, তোমরা এ পথ থেকে ফিরে এসো। নইলে তোমাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় পুলিশ কমিশনার বলেন, নগরীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নগরীর পদ্মা গার্ডেন, ভদ্রা পার্ক, জিয়া পার্ক ও বিমান চত্বর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে তিন তরুণী রয়েছে যাদের প্রলোভন দেখিয়ে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে ছাড়া হতো। টিকটকাররা দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের প্রলোভন দেখিয়ে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে ছেড়ে দিয়ে আসক্ত করছে। টিকটকারদের শক্তিশালী গ্রুপ রয়েছে, যারা প্রলোভন দেখিয়ে ভিডিও বানিয়ে দেশের বাইরেও মেয়েদের পাঠানোর চেষ্টা করছে। আটক তরুণীদের যাচাই-বাছাই শেষে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর যারা যুক্ত আছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা গত কয়েকদিন থেকে দেখেছি কিছু উঠতি বয়স্ক ছেলেমেয়ে যারা বিভিন্ন টিকটক ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে ছেড়ে দিয়ে স্কুল-কলেজে পড়ুয়া মেয়েদের আসক্ত করছে। সেই অনুপাতে আমার নয়জনকে আটক করেছি। আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছি, তাদের বয়স হচ্ছে ১৬ বছর বয়সের নিচে। কেউ ক্লাস নাইনে পড়ে, কেউ ক্লাস টেনে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আটক তরুণীদের একজনের ১৭ হাজার ফলোয়ার। একটি ছেলে আছে যার অসংখ্য মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। রাজশাহীতে ৫০০ ছেলে মেয়ে টিকটক ভিডিওর সঙ্গে জড়িত। তারা একে অপরের সঙ্গে জড়িত ছিল। এখানে একটি মেয়ে ভারতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। এই মেয়েগুলো কেউ রিকশাওয়ালার মেয়ে, কেউ আয়ার মেয়ে। তারা এসব মেয়েদের বিভন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে। যারা অর্থিক ভাবে স্বচ্ছল না। আমরা তাদের ভিকটিম করে ওই ছেলেদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব। যারা প্রাপ্তবয়স্ক না তাদের নিরাপদ হেফাজত কেন্দ্রে পাঠাব।