শেবাচিমে চিকিৎসকদের সরকারি দায়িত্ব পালনে গাফিলাতির অভিযোগে দুদকের অভিযান

শেবাচিমে চিকিৎসকদের সরকারি দায়িত্ব পালনে গাফিলাতির অভিযোগে দুদকের অভিযান

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা সঠিক ভাবে সরকারি দায়িত্ব পালনে গাফিলাতি এবং হাসপাতালের রোগীদের সময় না দিয়ে ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখাসহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে দিকে দুদক বরিশাল কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাজ কুমার সাহার নেতৃত্বে পাঁচজনের একটি দল এই অভিযান পরিচালনা করেন। 

অভিযোগের সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাদের সরকারি দায়িত্ব পালন না করে ব্যক্তিগত চেম্বারের রোগী নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এদিকে সরকার নির্ধারিত সকাল ৮টায় তারা অফিসেও আসেন না বলে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ এসেছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে সকালে কলেজ অধ্যক্ষ ডা. মনিরুজ্জামান শাহিনের কক্ষে তাকে পায়নি দুদকের অভিযানকারী সদস্যরা। অন্যদিকে দুদক আসার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি করে কার্যালয়ে আসেন কলেজ অধ্যক্ষ। সোয়া ১০টার দিকে কলেজের অন্যান্য চিকিৎসকরা এসে অধ্যক্ষের কক্ষে বায়োমেট্রিক হাজিরা দিতে শুরু করেন।

অভিযান চলাকালীর হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ও মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাজিমুল হক, বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. মাসুম আহমেদ, নিউরো সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. আনোয়ার হোসেন বাবলু এবং স্বয়ং পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলামকেও কর্মস্থলে পাওয়া যায়নি। 

কলেজ অধ্যক্ষ ডা. মনিরুজ্জামান শাহিন অভিযোগ করে বলেন, ‘দুদকের টিম আমার কক্ষে এসে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। বায়োমেট্রিক হাজিরার তালিকা চেয়েছেন। সেটি দেইনি বলে  তারা আমাকে তৃতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা বলে অভিহিত করেন। আমার কক্ষে ঢুকে যে আচরণ করেছেন, তা তারা করতে পারেন না। তাছাড়া আমি জানতে পেরেছি, তাদের কেউ একজন ডাক্তার দেখাতে গিয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছেন। এজন্য তারা আজকে এসেছেন’ 
 
এদিকে অভিযানের বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেননি দুর্নীতি দমন কমিশন।