তজুমদ্দিনে ৩ কোটি টাকার স্কুল কাম আশ্রয় কেন্দ্র ভাঙনে বিলিন

তজুমদ্দিনে ৩ কোটি টাকার স্কুল কাম আশ্রয় কেন্দ্র ভাঙনে বিলিন

ভোলার তজুমদ্দিনে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সাইক্লোন শেল্টার কাম স্কুলের চাতলা ভবন অর্ধেক নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। যে কোন সময় বাকি অংশ বিলিন হয়ে যাবে। স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টার নদীতে বিলিন হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

ভোলার তজুমুদ্দিন উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর জহির উদ্দিনের নিশ্চিন্তপুর শিকদার বাজার এসএসডিপির তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত চারতলা স্কুল ভবন কাম আশ্রয় কেন্দ্র ভেঙ্গে নদীর গর্ভে বিলীন হতে চলেছে। ভবনটি সঠিক সময় অপসারণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চরবাসী।
স্থানীয়রা জানান, চরজহিরউদ্দিনের মানুষের আশ্রয় ও শিক্ষা ব্যবস্থা প্রসারের লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এসএসডিপি) ২০১০-১১ অর্থ বছরে দুই কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে চারতলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করেন। ভবনটি ১৯৫ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ২১ টি কক্ষ বিশিষ্ট। বিশাল এই ভবনটি সাইক্লোন ছাড়া ব্যবহার হতো না। তাই সরকারি সিদ্ধান্তে উপজেলার নিশ্চিন্তপুর শিকদার বাজার মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত নিশ্চিন্তপুর শিকদার বাজার মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ২১৬জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করে। বিদ্যালয়টিতে ১২জন শিক্ষক-কর্মচারী সুনামের সঙ্গে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে আসছে। ভাঙনের মুখে পড়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মচারীরা অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

নিশ্চিন্তপুর শিকদার বাজার মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন জানান, বই-আসবাবপত্র, সোলারসহ প্রায় কোটি টাকার মালামাল নিয়ে তারা আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন।

বড় মলনচরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুন্নবী সিকদার বাবুল জানান, চরের মানুষের আশ্রয় ও শিক্ষার প্রসার অব্যাহত রাখতে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমান জানান, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবি) কর্মকর্তাসহ পরিদর্শন শেষে নিলামের মাধ্যমে অপসারণের জন্য নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু নদী ভাঙনের তীব্রতা বেশী হওয়ায় ভবনের একাংশ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।