শেবাচিমে রোগী ও স্বজনদের খাবার সংকট কেটেছে

করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত সাত দিনের লকডাউন চলছে। বরিশালে নগরীতে চতুর্থ দিনের লকডাউন চলছে। বরিশাল নগরীতে লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসনের কঠোর নজরদারী রয়েছে। গত শুক্রবার ২ জুলাই বরিশাল সার্কিট হাউজে ‘করোনা প্রতিরোধ কমিটি’র সভায় সরকার ঘোষিত লকডাউন কঠোর ভরেব বাস্তবায়নে গত শনিবার থেকে বরিশাল জেলার সকল প্রকার খাবার হোটেল, রেস্তোরাঁ বন্ধ ও বিকেল ৫টার পরে ফার্মেসী বাদে সকল দোকান বন্ধ দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ওই সিদ্ধান্তে বরিশাল নগরীতে অন্য জেলা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা বিপাকের পরে। পরবর্তীতে বিষয়টি গণমাধ্যমের সামনে আসলে প্রশাসন তাৎক্ষনিক শর্ত সাপেক্ষে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের কিছু সংখ্যক ভাতের হোটেল খুলে দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আজ (৪ জুলাই) মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান-এর নির্দেশে ওই হোটেল খুলে দেয়ার কথা জানানো হয়।
হোটেল খোলা রাখতে যে শর্ত দেয়া হয়, হোটেলর মধ্যে বসিয়ে কাউকে খাবার পরিবেশন করা যাবে না, দাম বেশি রাখা যাবে না এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাবার পরিবেশন করতে হবে ।
এদিকে, দুপুরে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা খাবার সংকটে পরায় দ্বিতীয় দিনের মত হাসপাতালের সামনের খাবার হোটেল মালিকরা খাবার পরিবেশন করে।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের নিউ রাধুনী, ভোলা, হাওলাদার, তাওহীদ, ভাই-ভাই, নন্দিনী, মিতালী খাবার হোটেল মালিকার ওই খাবার পরিবেশন করেন।
হাওলাদার হোটেলের মালিক অলি হাওলাদার ভোরের আলোকে জানান, ‘আমরা দ্বিতীয় দিনের মত খাবার পরিবেশন করেছি। বরিশালের অন্য অন্য জেলা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী এবং রোগীর স্বজনরা খাবার না পেয়ে খুব অসহায় হয়ে পরেছিলো তাই আমাদের এই উদ্যোগ।