সাদা পোশাকে তুলে নেয়ার পর গ্রেপ্তার বাদল

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে নোয়াখালী প্রেসক্লাব এলাকার একটি চা দোকান থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় সাদা পোশাকের পুলিশ। প্রথমে বিষয়টি পুলিশ স্বীকার না করলেও পরে পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাদল কয়েকজন নেতাকর্মীসহ প্রেসক্লাবের পশ্চিম পাশের একটি চা দোকানে চা পান করছিলেন। এ সময় একটি কালো রঙের মাইক্রোবাস এসে দাঁড়ায়। পরে ওই মাইক্রোবাস থেকে কয়েকজন সাদা পোশাকধারী লোক বের হয়ে বাদলকে মাইক্রোতে তুলে নিয়ে যান।
বাদলকে তুলে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য একটি প্রতিষ্ঠানের সিসি টিভিতে ধরা পড়েছে। সেখানে দেখা যায় একটি কালো রঙের মাইক্রোবাস থেকে কয়েকজন লোক বের হয়ে তাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন।
তবে জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমের কাছে তাকে আটক বা গ্রেপ্তারের কথা অস্বীকার করলেও সন্ধ্যা ৭টা ৩৬ মিনিটে বাদলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে কোন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা তিনি বলেননি।
মিজানুর রহমান বাদলের ছোট ভাই রহিম উল্যাহ বিদ্যুত সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে বলেন, আমার ভাই ১৮ মিনিট আগেও তার আইডি থেকে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। তিনি এসপি অফিসে আছেন।
মিজানুর রহমান বাদলের ফেসবুক পেইজে তিনি লেখেন, ‘সবাই ধৈর্য ধরুন। দেহে একবিন্দু রক্ত থাকতেও প্রিয় নেত্রী ও প্রিয় নেতার অপমান আমরা সইব না। কোম্পানীগঞ্জকে অপশাসনের হাত থেকে মুক্ত করব ইনশাআল্লাহ। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। দেখা হবে মুক্ত কোম্পানীগঞ্জে’।
মিজানুর রহমান বাদল (৪৯) উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চরকালী গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আলম চৌধুরীর ছেলে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট বাজারে আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদল সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি মারা যান।
এরপর মঙ্গলবার উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা চত্ত্বরে রাত ৯টার দিকে উভয়পক্ষের মধ্যে পুনরায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আলা উদ্দিন নামে যুবলীগের এক কর্মীও মারা যান।