সাবেক এমপি জেবুন্নেছা আফরোজের নামে ফেসবুক আইডি খুলে চাঁদা দাবির অভিযোগ

বরিশাল সদর আসনের সাবেক এমপি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জেবুন্নেছা আফরোজের নামে ফেসবুকে একাধিক একাউন্ট খুলে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাদাবি করা হচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুভাকাঙ্খী ও স্বজনদের কাছ থেকে এ ধরণের খবর পেয়ে বিব্রত সাবেক জেবুন্নেছা গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। তিনি জেবুন্নেছা আফরোজে।
নিজের ফেসবুক ওয়ালে গতকাল বুধবার এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দিয়ে আর্থিক লেনদেন না করতে সবাইকে সতর্ক করেছেন তিনি।
পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, বেশ কিছুদিন যাবত কে বা কাহারা আমার ছবি এবং নাম ব্যাবহার করে যেমন ‘জেবুন্নেছা আফরোজ হিরন’ ও ‘জেবু আফরোজ এমপিসহ আরো কিছু নাম দিয়ে আইডি খুলে আমার আত্মীয়-স্বজন, নেতাকর্মী, চেনা-অচেনা এমনকি সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে টাকা চাচ্ছে। যা কিনা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর ও লজ্জাজনক। শুধু তাই নয়, এই ধরণের ফেইক আইডি দিয়ে কোনো রকম অপকর্ম ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ড ঘটতে পারে কিনা তা নিয়ে আমি আমি শঙ্কিত। বিষয়টি ইতিমধ্যে আমি সাইবার ক্রাইম বিভাগে অবহিত করেছি। তারা কার্যক্রম শুরু করেছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় গুলশান থানায় একটি জিডি (নম্বর- ৪৫৭) করেছি।
পোস্টে জেবুন্নেছা আফরোজ আরও বলেন, সবার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি- আমার নিজস্ব আইডি একটাই (Jebu Afroz)। এর বাইরে কোনো আইডি’র কোনো কর্মকান্ডের জন্য আমার দায় নাই। যারা এ ধরনের আইডির কিছু অপকর্ম দেখেন বা জানতে পারেন দয়া করে তারা আমাকে আর কখনও বিরক্ত করবেন না আশা করি।
বুধবার বিকেলে ঢাকায় অবস্থানরত সাবেক এমপি জেবুন্নেছা আফরোজ মুঠোফোনে বলেন, পরিচিত-অপরিচিতদের কাছে ৬০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা পর্যন্ত চাওয়া হচ্ছে। ২ কোটি টাকা চাইলেও আমার নামের সপয়মড় যেত। বিষয়টি লজ্জাজনক এবং বিব্রতকর। পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ বিষয়টি দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গুলশান থানাও জিডির তদন্ত শুরু করেছে। বিভ্রান্তি অচিরেই দূর হয়ে যবে বলে আশা করেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জেবুন্নেছা আফরোজ।
এ বিষয়ে জানতে গুলশান থানার সরকারি টেলিফোন নম্বরে একাধিকবার রিং দেয়া হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।