সিলেটে যুবক হত্যার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সুজন।

সিলেটে যুবক হত্যার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সুজন।
সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে রায়হান উদ্দিন (৩০) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ করেছেন তার পরিবার। এ ঘটনায় থানায় মামলাও হয়েছে।
পুলিশের ৪ জনকে সাময়িক বরখাস্ত ও ৩ জনকে প্রত্যাহারও করা হয়েছে। এ ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন।
এছাড়াও আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজ উদ্দিন বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে সিলেটের মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে আবেদন করেছেন।
সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রায়হান উদ্দিনকে অন্যায়ভাবে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। যা এখন পরিষ্কার। এই বর্বর নির্যাতন ১৯৭১ সালের পাক হানাদারদের নির্যাতনকেও হারা মানিয়েছে।
এই ঘটনায় পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটি প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় যাদেরকে বরখাস্ত ও প্রত্যাহার করা হয়েছে তাদেরকে অনতিলম্বে গ্রেফতার করতে হতে হবে। তবে ঘটনার প্রথমদিকে পুলিশ ন্যক্কারজনক এই ঘটনাটিকে ভিন্নভাবে নেওয়ার অপচেষ্টা চালালে সাধারণ মানুষ তাদের সেই পরিকল্পনা ভেঙে দেয়। ন্যায়বিচারের জন্য মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।
তিনি আরও বলেন, সিলেটের এমসি কলেজের ন্যক্কারজনক ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি হয়েছে। আর পুলিশের হেফাজতে রায়হান উদ্দিন নামে এক যুবকের মৃত্যু ঘটনাটিও এখন বিচার বিভাগীয় তদন্ত করার সময়। তা না হলে আলোচিত এই ঘটনাটির ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা আছে। পুলিশ হেফাজতে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনাটির বিচার না হয় তাহলে এই অপরাধ মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য করবে সুজন।
এই ঘটনায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও কোনোভাবে দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না। পুলিশের কতিপয় লোকের কারণেই এই বাহিনী আজ ক্ষতিগ্রস্ত। সেসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনা ও পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের ওপর আর সাধারণ মানুষের আস্থা নেই।