সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে কথা চূড়ান্ত হয়েছে

একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। পশ্চিমবঙ্গের মেধাবী নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির পরিচালনায় একটি ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন।
সৃজিতের ওয়েব সিরিজে...
বাংলাদেশি লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি’ উপন্যাসটি অবলম্বনে ওয়েব সিরিজ করতে চলেছেন সৃজিত। এটি হইচই প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে। সৃজিত অনেক দিন ধরেই এই বইটি নিয়ে কাজ করার কথা ভাবছেন। গত বছর বাংলাদেশে এসে বৈঠক করে গেলেও বিষয়টি বাস্তবায়িত হয়নি। অবশেষে সব চূড়ান্ত হয়েছে। এই সিরিজে দুই বাংলার অভিনেতারাই থাকবেন। এ মুহূর্তে সৃজিতের হাতে ফেলুদার নতুন কিস্তির ব্যস্ততা। এটি গুছিয়ে নিয়েই মাঠে নামবেন তিনি। আমার সঙ্গে ইতিমধ্যে কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়েছে। চলতি বছরের শেষ দিকে শ্যুটিংয়ে যাওয়ার কথা।
শ্যুটিংয়ে ফেরা...
কম হলেও নাটকের শ্যুটিং শুরু হয়েছে। তবে এটা এমন পেশা নয় যে সবাইকে একযোগে অংশ নিতে হবে। এটি স্বাধীন পেশা। যে চাইবে সে কাজ করবে, যে চাইবে না সে করবে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে চাই। কারণ এখনই শ্যুটিংয়ে যোগ দেওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি হয়নি বলে মনে করছি। শ্যুটিংয়ে গিয়ে আমি অসুস্থ হয়ে গেলে সেই দায়ভার কে নেবে? অনেক বছর হলো এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। স্বাভাবিক সময়েই আমরা অনেক কিছু কম্প্রোমাউজ করে কাজ করি, সেখানে এ অবস্থায় কাজের যে পরিবেশ দরকার তা আমরা কতখানি পাব, এ নিয়ে সংশয় থেকেই যায়।
ঘরে বসে নানা কাজ...
এখন থেকে বুঝতে পারি ঘর থেকে দ্রুত বের হওয়া সম্ভব হবে না, তখন থেকেই নিজেকে ঘরের মধ্যে ব্যস্ত রাখতে শুরু করি। ঘরে বসেই অনেক কাজ করেছি। করোনা-সচেতনতামূলক বিভিন্ন ভিডিওতে অংশ নিয়েছি। সচেতনতামূলক গান গেয়েছি। পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন চ্যানেলসহ নানা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি উদ্যোগে আয়োজিত লাইভ অনুষ্ঠানসহ নন-ফিকশন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। শর্টফিল্ম, ঘরে বসে আয়নাবাজি শিরোনামে ওয়েব সিরিজও করেছি। ঈদে হানিফ সংকেতের পরিচালনায় একটি নাটকও করেছি। শোবিজের কাজের বাইরেও নানা কাজ করেছি। আমার পড়াশোনা চারুকলায়। কিন্তু অভিনয়ের ব্যস্ততার কারণে ছবি আঁকায় সময় দিতে পারিনি এত দিন। ছেলেকে নিয়ে ছবি আঁকতে বসেছি। আগে গ্রাফিকস ডিজাইনের কাজ করতাম। সেটিও একটু ঝালাই করে নিয়েছি। মোট কথা, যেভাবে নিজেকে ব্যস্ত রাখা যায় সেই চেষ্টা করেছি। অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। এ কথা আমি সব সময় মনে রাখি। সৃজনশীল কাজের মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখলেই এই কঠিন সময় আনন্দের সঙ্গে পার করা যাবে বলেই আমার বিশ্বাস।