৫ দফা দাবি নিয়ে বরিশালে হেফাজতের প্রতিবাদ সমাবেশ

৫ দফা দাবি নিয়ে বরিশালে হেফাজতের প্রতিবাদ সমাবেশ

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কর্মসূচি চলাকালে হাটহাজারী, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলা এবং পুলিশ-বিজিবির গুলিতে নিহত হওয়ার প্রতিবাদে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বরিশালে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে হেফাজতে ইসলামা।

‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার বিকেল ৩ টায় বরিশাল নগরের বাজাররোডস্থ জামিয়া আরাবিয়া খাজা মঈন উদ্দিন (মাদ্রাসা) ময়দানে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর জামিয়া আরাবিয়া খাজা মঈন উদ্দিন (মাদ্রাসা)র পরিচালক হাফেজ মাওলানা আব্দুল হালীম সাহেবের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাও. আব্দুল খালেক হরিণাফুলিয়া, মাওলানা শেখ সানাউল্লাহ মাহমুদী, মাওলানা মোখলেছুর রহমানসহ অন্যান্য ওলামায়ে কেরাম।
এসময় বক্তারা বলেন, গত ২৬ মার্চ বাংলাদেশে ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী নরেন্দ্র মোদির আগমন কোন ভাবেই জনগণ সহ্য করতে পারছিল না, তাই তারা প্রতিবাদ করেছিল এবং মোদির প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করেছিল, এটাই স্বাভাবিক বিষয়। মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে সারাদেশের মানুষ যখন স্বতস্ফুর্তভাবে ঘৃণা প্রকাশ করছিল, তখন পুলিশ বাহিনীর সাথে সরকারের দলীয় ক্যাডাররা দেশপ্রেমীক তাওহিদী জনতার উপর নগ্ন হামলা, টিয়ার শেল, গুলি চালিয়ে হাটহাজারীতে ৪ জনসহ মোট ২০ জনকে নিহত করেছিল, শত শত মানুষকে আহত করেছিল, যারমধ্যে এখনো অনেকে মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিন কসাই মোদির জন্য দেশের ইসলামপ্রিয় জনগণের উপর এই হামলার ঘটনা এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে। আধিপত্যবাদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী কসাই মোদিকে খুশী করার জন্য দেশের জনগণের বুকে গুলি চালিয়ে ও ইসলামপ্রিয় মানুষের রক্তে হাত রাঙিয়ে সরকার জালিমের আসনে বসেছে। দেশপ্রেমিক, ইসলামপ্রিয় তাওহিদী জনতার উপর এই হামলা ও হত্যার দায় সরকারকে বহন করতে হবে।

বক্তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি বেশ কয়েকজন নিহতর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এছাড়া ওইসব ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারও দাবি করেন তারা। 
এসময় বক্তারা ৫ দফা দাবির কথা তুলে ধরেন বক্তারা। দাবিগুলো হলো, ছাত্রলীগ, যুবলীগ-এর মধ্যে যারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িতদেরকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা,  যাদের ইশারায় ও যাদের মাধ্যমে ইসলাম প্রিয় মুসুল্লিদের উপর গুলি চালানো হয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা, সরকারের সন্ত্রাসী লীগ বাহিনীকে সবধরণের জাতীয় ইসু থেকে বিরত রাখা, সরকার বাংলাদেশের মাটিতে ইসলাম ও মুসলমানদের মতামতের বাহিরে কোন ইসলামী বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। অন্যায়ভাবে যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অনতিবিলম্বে তাদের মুক্তি দিতে হবে এবং গণগ্রেপ্তার ও নিরাপরাধ মানুষদের হয়রানী বন্ধ করা।


এসময় বক্তারা তাদের ৫ দফা দাবী অনতিবিলম্বে মেনে নিয়ে বাস্তবায়ন করার দাবি জানান, অন্যথায় তৌহিদী জনতা রাজপথে আবারো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলে হুশিয়ারী দেন।

 সমাবেশ শেষে বাজার রোড থেকে একটি মিছিল সহকারে নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে গিয়ে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত করে তারা। এ সময় মোতায়েন ছিলো বিপুল সংখ্যক পুলিশ।