অবৈধ নকশার দুই প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ বিসিসির

অবৈধ নকশার দুই প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ বিসিসির

অবৈধভাবে নকশা (প্ল্যান) বিহীন স্থাপনা নির্মাণের কারণে চূড়ান্ত শোকজ নোটিশ পাওয়ার পরেও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের  আইনকে উপেক্ষা করে ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনার দায়ে নগরীর দুটি অবৈধ প্রতিষ্ঠানে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) নগরীর বান্দ রোডস্থ চাঁদমারী ও  সাগরদী পুল সংলগ্ন এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন বিসিসির প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস ।

নগরীর বান্দ রোডস্থ চাঁদমারী এলাকার জনৈক মানিক হোসেন কোন ধরনের নকশা অনুমোদন ছাড়াই একটি ভবন তৈরী করে সেখানে হোটেল ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। যা স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ এর ৯২(৪) ধারা (৫ম তফসিল) ও ইমারত নির্মান আইন ১৯৫২ এর ৩(খ) ধারা মোতাবেক অপরাধমূলক কাজ। এ ব্যাপারে ঐ অবৈধ স্থাপনা অপসারণের জন্য ভবন মালিককে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে নোটিশ প্রেরণ করা হলেও ভবন মালিক তার কোনো জবাব না দিয়ে এবং আইন উপেক্ষা করে অবৈধভাবে নির্মিত ভবনে হোটেল ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। 

এছাড়া নগরীর সাগরদী পুল সংলগ্ন এলাকার জনৈক মোঃ তুহিন একইভাবে কোন ধরণের নকশা ছাড়াই স্থাপনা নির্মান করে ইট, সিমেন্ট, রড ও বালুর ব্যবসা অবৈধভাবে পরিচালনা করে আসছিলেন। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ এর ৯২(৪) ধারা (৫ম তফসিল) ও ইমারত নির্মান আইন ১৯৫২ এর ৩(খ) ধারা মোতাবেক অপরাধমূলক কাজ করায় তাকেও অবৈধ স্থাপনা অপসারণের জন্য সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে নোটিশ প্রেরণ করা হয়। কিন্তু তিনি তার কোনো জবাব না দিয়ে এবং আইন উপেক্ষা করে অবৈধভাবে নির্মিত ভবনে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। 


সর্বশেষ এ ব্যাপারে চূড়ান্ত নোটিশ প্রদান করে গতকাল মঙ্গলবার পরিচালিত অভিযানে ওই অবৈধ ভবনটি উচ্ছেদ করা হয়।

বিসিসির প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস আরও জানান, নগরীতে অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।