আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘ কর্মকর্তারা যাচ্ছেন ভাসানচর

প্রায় এক বছরের অচলাবস্থার পর ভাসানচর পরিদর্শনের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে জাতিসংঘ এবং বাংলাদেশ সরকার। সামনের সপ্তাহে সংস্থাটির একটি প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গাদের জীবনযাপন দেখতে সেখানে যাবেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের ঢাকা মিশনের সঙ্গে এ বিষয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানেই এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আনাদুলু এজেন্সি জানিয়েছে।
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে নিপীড়ন নির্যাতন থেকে প্রাণে বাঁচতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ঠাঁই নিয়েছেন বাংলাদেশের কক্সবাজারের বিভিন্ন শিবিরে। বিপুল পরিমাণ এ শরণার্থীদের মধ্যে যারা আগ্রহী তাদেরকে নোয়াখালীর অদূরে ভাসানচরে নিয়ে যাচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে কয়েক দফায় প্রায় ১৩ হাজার রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে।
অধিকাংশ রোহিঙ্গা ভাসানচরে গিয়ে সুযোগ-সুবিধার জন্য সন্তোষ প্রকাশ করলেও জাতিসংঘসহ কয়েকটি সংস্থা শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছিলো।
যদিও উন্নত জীবনযাপনের সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত অবকাঠামো থাকায় কক্সবাজারের জরাজীর্ণ শিবির থেকে ভাসানচর রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ হিসেবে উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।
জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের আগামী সপ্তাহে এই সফরের বিস্তারিত জানা না গেলেও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআরের ঢাকা কার্যালয়ের মুখপাত্র মোস্তফা মোহাম্মদ সাজ্জাদ আনাদুলুকে বলেছেন, সফরের বিস্তারিত ঠিক করতে আলোচনা চলছে।
অন্যদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া) দেলোয়ার হোসেন জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, গত সপ্তাহে আমাদের বৈঠক হয়েছে। জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সরাসরি পরিদর্শনে সহায়তা করতে অফিসিয়াল সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সামনের সপ্তাহের মাঝামাঝি সফরটি হতে পারে। আমরা তাদের সফরে টেকনিক্যাল সহায়তা দেবো।