আমতলীতে শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক গ্রেপ্তার

আমতলীতে শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক গ্রেপ্তার

বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের উত্তর খেকুয়ানি গ্রামে এক মাদরাস ছাত্রীকে (৪) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষিত ওই ভিকটিম ছাত্রীকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। 

ওই ঘটনায় মামলার পর আমতলী থানার পুলিশ একই গ্রামের কাঞ্চন হাওলাদারের বখাটে ছেলে ধর্ষক সোহাগ হাওলাদারকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে। 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের উত্তর খেকুয়ানি রাশেদিয়া নূরানী মাদরাসার এক শিশু ছাত্রী দুপুর ২টার দিকে মাদরাসা ছুটি শেষে বাড়িতে ফিরছিল। এসময় বখাটে সোহাগ হওলাদার তাকে চকলেট খাওয়ার জন্য ২০ টাকার লোভ দেখিয়ে তার সাইকেলে তুলে পাশের একটি পানের বরজে নিয়ে ধর্ষণ করে। মাদরাসা থেকে বাড়ি ফিরতে বিলম্ব দেখে মেয়েটির মা খুজতে গিয়ে পানের বরজের ভিতরে তার মেয়ের ডাক চিৎকার শুনে সেখানে গিয়ে দেখেন তার মেয়েকে সোহাগ ধর্ষণ করছে। মায়ের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে ধর্ষক সোহাগ হাওলাদার দৌড়ে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার মা আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎিসার জন্য নিয়ে আসেন।

হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ ফারাহ বিনতে ফারুকী জানান, মেয়েটির যৌনাঙ্গে আঘাতে চিহ্ন এবং ফুলা রয়েছে। তার উন্নত চিকিৎসা এবং ডাক্তারী পরীক্ষা প্রয়োজন। এজন্য তাকে উন্নত চিকিৎসা এবং পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। 

মেয়েটির মা কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, মেয়ের ডাক চিৎকার শুনে আমি পানের বরজের ভিতর থেকে মেয়েটিকে বিবস্ত্র এবং যৌনাঙ্গ ফুলা অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসি। সে মানষিক ভাবে অনেক ভেঙ্গে পড়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

ওই ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে আমতলী থানায় সোহাগ হাওলাদারকে আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। তাৎক্ষনিক পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক সোহাগ হাওলাদারকে গ্রেফতার করেন। 

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান বলেন, ওই ঘটনায় থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষক সোহাগ হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।