আমতলীর দু’ইউনিয়নের সংযোগ সেতুর বেহাল দশা,চরম দুর্ভোগ

বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ও হলদিয়া ইউনিয়নের সংযোগ চাওড়া নদীর উপড় নির্মিত আয়রন ব্রীজটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুটি পার হতে প্রতিদিন চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দু’ইউনিয়নের ২০ হাজার ভূক্তভোগী মানুষকে।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানাগেছে, ২০০৮ সালে ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮৫ মিটার দৈর্ঘ্য চাওড়া নদীর উপড় এ আয়রন ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। ২০১৯ সালের শেষের দিকে ব্রীজটির স্লিপার ভেঙ্গে ও ডেবে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অদ্যবদি আর কোন সংস্কার কাজ না করায় বর্তমানে ব্রীজটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। ব্রীজটির দক্ষিন পাড়ে হলদিয়া ইউনিয়নের হলদিয়া বাজার, তুজির ঘোঝা, ইউনিয়ন ভূমি অফিস কাম বাজার, হলদিয়া হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তক্তাবুনিয়া নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসা, গুরুদল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উত্তর পাড়ে চাওড়া ইউনিয়নের কাপালী গ্রাম, চন্দ্রার হাট, চন্দ্রা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাউনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ব্রীজটি দিয়ে হলদিয়া ও চাওড়া ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার পথচারী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পারাপার হন। প্রতিদিন এ ব্রিজটি পার হয়ে ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল, ব্যাটারী চালিত অটোরিক্স্রা ও ভ্যানসহ ছোট ছোট যানবাহন উপজেলা সদরে চলাচল করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, ওই ব্রীজটির বেশ কয়েকটি জায়গায় উপরের অংশের ঢালাই করা সিøপার ভেঙ্গে রড বের হয়ে গেছে এবং ব্রিজের রেলিং ভেঙ্গে নদীতে পড়ে রয়েছে। ভূক্তভোগী স্থাণীয়রা পথচারী পারাপার ও যান চলাচলে যেন দূর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য জন্য ব্রিজের উপরের ভাঙ্গা অংশে কাঠ দিয়ে মেরামত করেছে। দ্রুত ব্রিজটির মেরামত না করা হলে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা।
স্থাণীয় ভূক্তভোগীরা জানায়, বর্তমানে এ ব্রিজটির এমন অবস্থা হয়েছে যে পুরুষেরা কোনোমতে পার হতে পারলেও বৃদ্ধ, নারী ও শিশুরা পারাপার হতে ভয় পায়। দীর্ঘদিন সেতুটির সংস্কার না হওয়ায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম মৃধা মুঠোফোনে বলেন, ব্রিজটি সংস্কার করা জরুরী হয়ে পড়েছে। এ ব্রিজ দিয়ে হলদিয়া ও চাওড়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে। ব্রিজটি দ্রুত সংস্কারের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) আমতলীকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে দ্রুত ব্রিজটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে জরুরী ভিত্তিত্বে ব্রিজটি সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হবে।