বরিশালে অ্যাম্বুলেন্স ধর্মঘটের হুশিয়ারী

বরিশালে দালাল চক্রের হয়রানীতে অতিষ্ট হয়ে মানববন্ধন করেছে বরিশাল অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেড। তাদের দাবী, অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করে মাদক পরিবহন, রোগীকে হত্যা, জিম্মিসহ নানান অপরাধে যুক্ত কিছু অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ী। যারা বৈধ সংগঠন বরিশাল অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের অ্যাম্বুলেন্স মালিকদের ব্যবসায় বাঁধা, সাধারণ রোগীদের হয়রানী সহ নানা হুমকীদামকীতে এখন অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা বন্ধের পথে। তাই এই দালাল চক্রকে আইনের আওয়তায় না আনলে আগামী ২১ নভেম্বর সকাল ৮ টা থেকে সকল প্রকার রোগী ও মরদেহ পরিবহন বন্ধের হুশিয়ারী দিয়েছে অ্যাম্বুলেন্স মালিকরা।
বৃহষ্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মোঃ ফিরোজ আলম এ হুশিয়ারি দেন ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জাকির হোসেন বলেন, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের সামনে একমাত্র রোগী পরিবহনের জন্য বৈধ সংগঠন বরিশাল অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেড। এই সংগঠনে বর্তমানে ১২০ জন সদস্য রয়েছে, আর অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা ১৬০। এর মধ্যে প্রথম সাড়ির এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টি। তবে দীর্ঘদিন ধরে ১০-১২ জন মাদকসেবনকারী ও দালালদের কাছে জিম্মি এ সংগঠনটির এম্বুলেন্স মালিকরা। এ দালার চক্র আইন ও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তাদের খেয়াল খুশিমত কৌশল পরিরর্তন করে রোগী ও তার স্বজনদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এই চক্রের নেতা স্থানীয় নাসির ও তার স্বজনরা।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, সরকার কর্তৃক বরিশাল থেকে ঢাকার ভাড়া ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা রয়েছে। সেখান থেকে মালিক সমিতি মানুষের ভালো চিন্তা করে ১০ হাজার টাকা ভাড়া নির্ধারণ করেছে। অথচ এই দালাল চক্র ঢাকা থেকে আসা অ্যাম্বুলেন্সে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকায় রোগীদের পাঠিয়ে দিচ্ছে। এ ভাড়া থেকে ৬০ শতাংশই যায় দালাল চক্রের কাছে। অন্যদিকে ঢাকা থেকে আসা গাড়িগুলো রোগীবহন করায় স্থানীয় মালিকরা ট্রিপ না পেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই এ সংবাদ সম্মলনে এ দালল চক্রের মূলহোতা ও সহযোগীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান এ কমিটির সদস্যরা।
সংবাদ সম্মলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল এ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মো. ফিরোজ আলম, সহ সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ, যুগ্ম সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান প্রমুখ।
এদিকে কমিটির আওতার বাহিরে থাকা অ্যাম্বুলেন্স মালিকরা বলছেন, রোগীর স্বজনরা তাদের ইচ্ছেমত গাড়িতে যাবে। কিন্তু সেখানে বাধা প্রদান করে কমিটি। আবার ঢাকা থেকে আসা অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকাগামী একটি রোগী তুলে দেয়া যায়, তবে সেই রোগী ঢাকায় ৭-৮ হাজার টাকার মধ্যে ঢাকায় যেতে পরে। এখানে রোগীরা আর্থিকভাবে লাভবান কিন্তু মালিক সমিতির করা নিয়মানুযায়ী ১০ হাজার টাকার নীচে কোন রোগী পাঠানো যাবে না। এজন্য অ্যম্বুলেন্স ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেক মালিক এ সমিতির আওতায় নেই। আর এ জন্যই মিথ্যাচার চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা।