ইয়াসে আটকা পড়া যাত্রীদের রান্না করা খাবার দিলেন সাংসদ পংকজ

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর কারণে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের মাসকাটা নদীতে আটকে পড়া দুই লঞ্চের ৪০০ যাত্রী ও লঞ্চ স্টাফদের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় সাংসদ পঙ্কজ নাথ। বৈরী আবহাওয়ায় লঞ্চচলাল নিষিদ্ধ করা হলে লঞ্চদুটি মেহেন্দিগঞ্জে নিরাপদ আশ্রয় নেয়। লাঞ্চে আটকা পরা ৪০০ যাত্রীদের রান্না করা খাবার সরবরাহ করেন সাংসদ পংকজ নাথ।

জানা গেছে, ভোলা থেকে এমভি আল-ওয়ালিদ ও হাতিয়া থেকে এমভি তাসরিফ-২ লঞ্চ যাত্রীদের নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। পথিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর কারণে বৈরি আবহাওয়ার কারণে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে মেহেন্দিগঞ্জের পাতারহাট লঞ্চঘাট সংলগ্ন মাছকাটা নদীতে যাত্রীসহ নিরাপদে নোঙর করে লঞ্চদুটি। যাত্রীরা সেই লঞ্চদুটিতেই অবস্থান করছিলো, তবে লঞ্চে খাদ্য সংকট দেখা দিলে বিষয়টি স্থানীয় সংসদ (বরিশাল-৪) পঙ্কজ নাথ জানতে পারলে তিনি বুধবার রাত থেকে ওই দুই লঞ্চের ৪ শত যাত্রীর খাবারের ব্যবস্থা করছেন। পাশাপাশি তিনি নিজে গিয়ে লঞ্চের যাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার খোঁজ খবর নিয়েছেন।

বৃহষ্পতিবার সকালে লঞ্চদুটির যাত্রী ও স্টাফদের খোঁজখবর নিতে এমপি পঙ্কজ নাথের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মাহফুজ উল আলম লিটন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম ভুলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সুভাষ চন্দ্র সরকার, সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, পৌর কাউন্সিলর মনির জমদ্দার প্রমুখ।

পঙ্কজ নাথ-এমপি জানান, গতকাল দুপুরের পর তিনি জানতে পারেন তার সংসদীয় এলাকার মাছকাটা নদীতে ঢাকাগামী দুটি লঞ্চ যাত্রীদের নিয়ে আটকা পরেছে। এরপর খোঁজ খবর নিয়ে রাত থেকে এমভি আল-ওয়ালিদ, এমভি তাসরিফ-২ লঞ্চের যাত্রী ও লঞ্চ স্টাফ মিলিয়ে ৪০০ জনের খাবার ব্যবস্থা করেন তিনি। এছাড়া পাতারহাট থেকে ঢাকাগামী ইয়াদ লঞ্চের স্টাফদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, রাতের পর বৃহষ্পতিবার সকালের নাস্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে, দুপুরেও ব্যবস্থা করা হচ্ছে খাবারের। লঞ্চ না ছাড়া পর্যন্ত আটকে পড়া তিন লঞ্চের ৪ শতাধিক যাত্রী ও স্টাফদের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এমভি আল-ওয়ালিদ ও এমভি তাসরিফ-২ লঞ্চদুটি মঙ্গলবার বৈরি আবহাওয়ার প্রভাব শুরু হওয়ার আগেই যাত্রীদের নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। তবে ঝড়ের কবলে পরে বুধবার এসে মাসকাটা নদীতে আশ্রয় নেয়।