ঈদে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি যাবেন না

ঈদে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি যাবেন না

প্রয়োজন ছাড়া জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঈদে বাড়ি না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ  চৌধুরী। তিনি বলেছেন, সামনে ঈদুল আজহা, গণপরিবহন নিয়ে আমরা একটা সংকটের মধ্যে আছি। আমি যাত্রী সাধারণের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাই, প্রয়োজন ছাড়া আমরা যেন এই যাত্রাটাকে পরিহার করি। কারণ বেঁচে থাকলে আমরা অনেক ঈদ উযাপনের সুযোগ পবো। কাজেই তাড়াহুড়া করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই যাত্রায় না যাওয়াটাই আমাদের জন্য মঙ্গলজনক।

আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর  সেগুনবাগিচায় রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানে এ আহবান জানান তিনি। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রয়াত সদস্যদের সম্মানে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় প্রয়াত সদস্যদের পরিবারের মধ্যে অর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী। 

সংগঠনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে সাংগঠনিক সম্পাদক হাবীবুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সানলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহাদাত হোসেন সোহাগ, সংগঠনের সহসভাপতি নজরুল কবীর, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলিমুল আলম বিপ্লব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানি, কবির আহমেদ খান প্রমুখ। 

 

নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, একদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ, অপর দিকে বন্যা, এ রকম একটা পরিস্থিতিতে সড়ক, রেল, আকাশ ও নৌ পথে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে যতটুকু সম্ভব সঠিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে নৌ পথে ঈদ যাত্রাটাকে আমরা সুন্দর করতে চাই।

বাংলাদেশ থেকে বিদেশে গিয়ে অনেক সাংবাদিকই  দেশবিরোধী কর্মকান্ডে জড়িয়েছে বলে দাবি করেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আজকে দুঃখজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যমকর্মী তারা বাংলাদেশ থেকে  বেরিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়ে দেশবিরোধী কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়েজিত রেখেছে। দেশের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করছে।

তিনি বলেন, আমাদের কষ্ট লাগে যখন  দেশের কথা বলতে গিয়ে করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে অনেক সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করেছেন। এই অনুভূতিকেও যদি অনুধাবন করতো, যে আমার একজন সহকর্মী আমার একজন সহযোদ্ধা বাংলাদেশে এই পরিস্থিতির মধ্যে আছে তাহলে অন্তত পক্ষে দেশবিরোধী এই কথাবার্তাগুলো বলতো না।

তিনি বলেন, আজকে অনেকেই বলছেন বাংলাদেশের অর্থনীতি নাকি ধ্বংস হয়ে গেছে। তাহলে কিভাবে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের জন্য এত কোটি টাকা অনুদান দিলেন। তাহলে কিভাবে এত বড় বাজেট পাশ হলো? কিভাবে আমরা তিন মাস করোনাভাইরাসের দুর্যোগের মধ্যেও গত বাজেটের ৯০ ভাগ বাস্তবায়ন করতে পেরেছি? কিভাবে পদ্মাসেতুসহ সরকারে এত বড় বড় উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করে যাচ্ছেন? এগুলো কিভাবে সম্ভব।

বাংলাদেশের কোন জায়গায় বেতন না পেয়ে কষ্টে জীবনযাপন করছে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। প্রায় এক হাজার  কোটি টাকার কার্যক্রম নৌ পরিবহনে চলমান। আমরা আরও ২৫শ কোটি টাকার ডিপিপি সংশোধন করার জন্য একনেকে পাঠিয়েছি। তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে গেল কিভাবে?