উত্তাল সাগর

দু’দিন ধরে ঝড়ো হাওয়া বইছে সেন্টমার্টিনে। সাগরও উত্তাল। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে দ্বীপের পাকা জেটিসহ উপকূলে। ভেঙে পড়েছে দ্বীপের কিনারে থাকা বেশ কিছু নারিকেল গাছ। বেড়েছে জোয়ার। এতে বেশ আতঙ্কে দিন কাটছে দ্বীপবাসীর। তবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার (২৫ মে) দ্বীপে অবস্থানরত একটি সরকারি অফিসের তত্ত্বাবধায়ক তাতু বড়ুয়া বলেন, সাগর উত্তাল রয়েছে। মানুষ একটু আতঙ্কে। কিছু কিছু অংশে নারিকেল গাছ ভেঙে পড়েছে। দ্বীপে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিব খান বাংলানিউজকে বলেন, জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট উচ্চতায় দ্বীপে আছড়ে পড়ছে। দ্বীপের মানুষ সজাগ রয়েছে।
সমস্যা হচ্ছে দ্বীপের ১০ হাজার বাসিন্দার জন্য ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র আছে মাত্র দু’টি। যে কারণে দ্বীপের উঁচু হোটেল-মোটেল, সরকারি অফিস প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি বিবেচনা করে দ্বীপের ছয় হাজার মানুষকে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি চলছে। দ্বীপে দু’টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও বহুতল ভবনের ২৩টি হোটেল খোলা রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, দ্বীপের বেশিরভাগ ঘরবাড়ি কাঁচা। যে কারণে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে দ্বীপের মানুষ আতঙ্কে।
টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, উপজেলার উপকূলীয় শাহপরীর দ্বীপ, সাবরাং, মহেশখালীপাড়া, বাহারছড়া এলাকার অন্তত লাখো মানুষ ঝুঁকিতে আছে। তাদের সরিয়ে আনার জন্য অন্তত ৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশের মানচিত্রের সর্বদক্ষিণের উপজেলা টেকনাফের একটি ইউনিয়ন সেন্টমার্টিন দ্বীপ। নয়নাভিরাম সৌন্দর্য অবলোকন ও ভ্রমণের একটি আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা। টেকনাফ থেকে ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে দ্বীপটির অবস্থান। ‘নারিকেল জিনজিরা’ নামে পরিচিত সেন্টমার্টিন দ্বীপের আয়তন প্রায় ৮ বর্গ কিলোমিটার ও উত্তর-দক্ষিণে লম্বা। এ দ্বীপের তিন দিকের ভিত শিলা যা জোয়ারের সময় তলিয়ে যায় এবং ভাটার সময় জেগে ওঠে। এগুলোকে ধরলে এর আয়তন হবে প্রায় ১০-১৫ বর্গ কিলোমিটার।