এবার ব্রজমোহন কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি প্রতাহারের দাবি

এবার ব্রজমোহন কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি প্রতাহারের দাবি

সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত আহবায়ক কমিটি প্রত্যাহার করে সংশোধিত কমিটি গঠন করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে বরিশাল নগরের সদররোডস্থ বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. ইলিয়াস হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ০৭ নভেম্বর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ কর্তৃক সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি গৃহীত হয়। যে কমিটিতে রাজপথের যোগ্য, তাগী মেধাবীদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি। এই কমিটির বিতর্কিত আহবায়ক মাজাহারুল ইসলাম বাবু একই কমিটির ৪ জন যুগ্ম আহবায়কের থেকে একাডেমিক জুনিয়র এবং সে কলেজের নিয়মিত ছাত্র নয়। সে ২০০৮/২০০৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়ে বিএম কলেজ ছাত্রদলের কোন প্রকার কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ছিলো না। এমনকি ক্যাম্পাসেও তার নিয়মিত যাতায়াত ছিলো না। ২০১৪ সাল পরবর্তী সময় থেকে অধ্যবধি তাকে ক্যাম্পাসে দেখা যায়নি। সে সিনিয়র নেতৃবন্দর কাছে অবলিলায় স্বীকার করেছেন যে, সে ঢাকায় কর্মরত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে আরো জানানো হয়, মাজাহারুল ইসলাম বাবু দীর্ঘদিন বাকেরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক প্রার্থী ছিলেন এই মর্মে প্রমানপত্র রয়েছে। তার নামে বিভিন্ন নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট ঘাটলে বোঝা যায় সে কতটা কুরুচিপূর্ণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। এছাড়া তার সঙ্গে ছাত্রলীগে সম্পৃক্ততা রয়েছে। কলেজে তার ছাত্রত্ব প্রমাণের কোন কাগজপত্র নেই। হাস্যকর পকেট কমিটির সদস্য সচিব সজল তালুকদার বিএম কলেজ ছাত্রদলের মত গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের সদস্য সচিব হওয়ার অযোগ্য। তিনি দীর্ঘদিন বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এরকম একজন অযোগ্য, অথর্ব, অপেক্ষাকৃত দুর্বল ব্যক্তিকে উক্ত পদে অলঙ্কিত করায় বিএম কলেজ ছাত্রদল হতাশ ও মর্মাহত। ৪ নম্বর যুগ্ম আহবায়ন কাজী শফিউল বাশার আইএফআইসি ব্যাংকের বরিশাল কর্পোরেট শাখায় কর্মরত। ৬ নং যুগ্ম আহবায়ক ফেরদৌস আহাম্মেদ একজন বিবাহিত ব্যক্তি। তিনি চাকুরীজীবী, তার স্ত্রীর নাম মিম ও শশুর মোসলেম উদ্দিন হাওলাদার। ৯ নং যুগ্ম আহবায়ক রকিব হাওলাদার সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে স্নাতকের নিয়মিত ছাত্র। বিএম কলেজ ছাত্রদলের সঙ্গে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। ১২নং যুগ্ম আহ্বায়ক শাহারিয়ার জামান মিঠুন বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী।

বিগত আন্দোলন সংগ্রামে বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে তাকে দেখা যায়নি। ১৬ নং সদস্য রেজাউল করিম রেজা বিএম কলেজ ছাত্রদলের অপরিচিত মুখ। বিএম কলেজ ছাত্রদলের সঙ্গে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। ২১নং সদস্য রুহুল আমীন অনেক যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও তাকে আহবায়ক কমিটিতে অমূল্যায়ন করা হয়েছে।উক্ত আহবায়ক কমিটিতে সোলায়মান, নিয়ন, শাখওয়াত, জুমার, তাইয়াব, নাঈম, এনাম, নিরব, তাহমিদ, বাশার, সাহেলসহ অসংখ্য দীর্ঘদিনের ত্যাগী ও পরিক্ষিত কর্মীদের বঞ্চিত করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সকলের পক্ষ  হয়ে মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিক্ষা ঐক্য প্রগতি এই তিন মূলনীতিকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে ১/১১ থেকে বিএম কলেজ ছাত্রদলকে সুসংগঠিত করা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষে দেশনেত্রী বেগম খালেজা জিয়া ও ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক আগামীর রাষ্ট্রনায়ক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়রম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সকল কর্মসূচি সফল করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বিএম কলেজ ছাত্রদলে রাজপথের অনেক আদর্শবান, ত্যাগী, মেধাবী ছাত্রনেতা থাকা সত্ত্বেও একজন অযোগ্য, অথর্ব, কমেডিয়ানকে আহ্বায়ক করায় আমরা সাধারণ নেতাকর্মীরা হতাশা, মর্মাহত ও বিপর্যস্ত। উক্ত হাস্যকর পকেট কমিট গঠন করায় বিএম কলেজ ছাত্রদল তার অতীত ঐতিহ্য ও সুনাম হারিয়েছে। যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে বিএম কলেজ ছাত্রদল ধ্বংসপ্রায়। এ অবস্থায় অতি সত্ত্বর উক্ত বিতকির্ত কমিটি সংশোধন করে সিনিয়রদের প্রাধান্য দিয়ে সৎ, যোগ্য, ত্যাগী, মেধাবীদের দিয়ে পুনরায় কমিটি প্রকাশের জোর অনুরোধ জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে সদ্য ঘোষিত কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মো. খালিদ হোসেন বাবর, এসএম শামীম রেজা শুভ, মো. আশিকুল ইসলাম শাহিনম মো. আরিফুর রহমানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।