কদম ফুলের ১০ টি গুনাগুন

কদম ফুলের ১০ টি গুনাগুন

কদম ফুলের ১০ টি গুনাগুনর
দক্ষিণ- পূর্ব এশিয়া কদমের আদি বাসস্থান। বাংলাদেশে সব অঞ্চলে বিশেষ করে নিচু এলাকায় এটি ভালো জন্মে। এই গণে প্রজাতির সংখ্যা ২টি।আজ ভোরের আলো আপনাদের জানাবে কদম ফুলের ১০ টি গুনাগুন:

১.শিশুদের কৃমির উপদ্রবে: সাধারণত ৪-৫ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে ২০০ মি.লি. কচি কদম পাতার রস দিনে একবার খাওয়াতে হবে। উপদ্রব না কমলে সকালে-বিকালে দু’বার করে খাওয়ালে সপ্তাহখানেকের মধ্যে উপকার পাওয়া যাবে। বয়স অনুপাতে পাতার রসের পরিমাণ বাড়াতে হবে।

২.মুখের দূর্গন্ধ সরাতে: মুখের দুর্গন্ধ সরাতে কদম ফুল কুঁচিয়ে পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে কুলকুচা করতে হবে। এতে দুর্গন্ধ দূর হবে।

৩. টিউমারের ব্যাথা উপশমে :কদমের কচি ছার চন্দনের মতো বেটে সাধ্যমতো গরম করে টিউমার প্রলেপ দিলে ফোলা ও ব্যথা দুয়েরই উপশম হয় বলে আয়ুর্বেদ চিকিৎসকগণ দাবি করেন।
৪.চক্ষু প্রদাহ উপশমে:কদম ছালের গুঁড়া, অফিম ও ফিটকিরি সমপরিমাণ মিশিয়ে চোখের চারদিকে প্রলেপ দিলে চক্ষু প্রদাহ দূর হয়  ।

৫.পিপাসা দূরীকরনে: প্রবল জ্বরে পিপাসাও প্রবল হয়ে থাকে। এমন অবস্থায় কদম ফলের রস খাওয়ালে পিপাসা দূর হয়।

৬. মুখের ক্ষত কমাতে :মুখে ঘা বা ক্ষত হলে কদম পাতার ক্বাথ মুখে নিয়ে কুলি করলে সেরে যাবে। পচা ঘা বা ক্ষত ট্যানিনের সংস্পর্শে এলে ক্ষত কোষ অধঃক্ষেপিত হয়ে পাতলা আবরণের সৃষ্টি করে ও ক্ষত সারিয়ে তোলে।

৭.ম্যালেরিয়া চিকিৎসায়: কদমে কুেইনোভিক এসিড(quinovic acid)এবং সিনকোট্যানিক এসিড
(cinchotannic acid) থাকার জন্য এটি ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

৮.কোষ বৃদ্ধিতে:অনেকেই কদম পাতা দিয়ে বাধা হয়ে থাকেন।কারন গাছের ছাল বেটে ত্বকে লাগিয়ে ,কদম পাতা দিয়ে বাধা হয়ে থাকলে, ত্বকের বৃদ্ধি অর্থাৎ ফোলা কমে যায়।
৯.শিশুর বমি কমাতে:কদমের ত্বকের রস জরাচূর্ন ওচিনির সাথে মিশিয়ে খেলে বমি নিবারিত হয়।
১০.শক্তি বৃদ্ধি:কদম ছালের রস জ্বর নাশক ও বল বৃদ্ধিকারক।