করোনা সচেতনতায়, বিনোদন কেন্দ্রের ভীড় কমাতে হবে

করোনা সচেতনতায়, বিনোদন কেন্দ্রের ভীড় কমাতে হবে

করোনা ভাইরাস ভয়াবহ রূপ নিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে। তারপরও আমরা সেভাবে সচেতন হচ্ছি না। জনবহুল এলাকার ভীড় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ হয়নি। বিদেশ থেকে বিশেষ করে ইতালি, চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী আসা বন্ধ হচ্ছে না। ছেঁয়াচে রোগ হওয়ায় সহসা সংক্রমণ হতে পারে এমন আশঙ্কায় দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। অথচ দেশের সব বিনোদন কেন্দ্র উন্মুক্ত রায়েছে। জনসমাগম কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বিনোদন কেন্দ্রে ভীড় না জমাতে প্রচারণার পরও মানুষের ভীড় থামানো যাচ্ছে না। এখন দরকার বিনোদন কেন্দ্রের ভীড় কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। একই সঙ্গে প্রবাশীদের দেশে আসা বন্ধ করা।

চীনের উহানে আক্রান্ত করোনার প্রভাব সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে। চীনের প্রাদুর্ভা তারা নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে। আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় করোনা মোকাবেলায় সামর্থ তেমন একটা নাই। তাই আমাদের সচেতনতাই প্রথম ও প্রধান পদক্ষেপ। আমাদের সচেতন থাকতে হবে। আমরা লক্ষ্য করছি, বিদেশ ফেরত নাগরিকদের নিয়ে প্রশাসন বেশ উদ্বিগ্ন। কিন্তু দেশে থাকা নাগরিকদের যথেচ্চার চলাফেরা বন্ধে তেমন কোন উদ্যোগ নেই। বিদেশ ফেরত বাঙালিদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে নানা উদ্যোগ চলছে। এটা অত্যন্ত জরুরী। সেই সঙ্গে বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে যাতে ভীড় না থাকে সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে।

করোনা ঠেকাতে যে কোন ধরণের জমায়েত না করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। তারপরও জমায়েত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এই ঘোষণার মধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ এবং বাগেরহাট-৪ আসনের উপনির্বাচন হচ্ছে। সেখানে ভোটারসহ প্রিসাইডিং, পোলিংসহ কর্মকর্তাদের ভীড় থাকবে। এই ভীড়ের জন্য দায়ি নির্বাচন কমিশন। এর বাইরে সবচেয়ে বেশি জমায়েত হচ্ছে আমাদের দেশের বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে। এর পাশাপাশি  পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজার, কুয়াকাটা, পতেঙ্গায় এখন মানুষের উপচেপড়া ভীড়। সেসব স্থানের হোটেলের কক্ষ খালি পাওয়া যাচ্ছে না। ছুটি পেয়ে বেশিরভাগ মানুষ বিনোদনকেন্দ্রে ভীড় জমাচ্ছেন। এখন পন্যের বাজারের সঙ্গে সঙ্গে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা দরকার।

করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে আমরা উদাসীন। বাস্তবতা হচ্ছে, সর্দি, কাসি এবং জ¦র হলে হাসপাতালে ভর্তি নিতে চাইছে না। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকরা মাক্স ব্যতিত রোগী দেখছেন না। অনেকে জ¦র, কাসি হয়ে হাসপাতালে যেতেও ভয় পাচ্ছেন। এমন বাস্তবতায় আমাদের সচেতন থাকতেই হবে। নিজে সচেতন থাকতে হবে, পাশাপাশি অন্যদের সচেতন করতে হবে। সেইজন্য জনবহুল এলাকা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। এজন্য আমাদের বিনোদন কেন্দ্রগুলো অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।