কলেরা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন

হঠাৎ করে দেশে কেন কলেরার আবির্ভাব হলো জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, কী কারণে দেশের মানুষ আবার কলেরায় আক্রান্ত হচ্ছেন সে বিষয়টি খুঁজে বের করে এ থেকে পরিত্রাণের উদ্যোগ নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে নির্ধারিত আলোচ্যসূচির বাইরে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বর্তমান কলেরা নিয়ে খুবই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এটা কেন হলো, তা তিনি জানতে চেয়েছেন। কোথায় কার গাফিলতিতে আবার এই রোগের আবির্ভাব হলো তা অনুসন্ধান করে সমাধানের তাগিদ দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঢাকায় গত ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে সম্ভবত এ রকম কলেরা ও ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা যায়নি। আইসিডিডিআরবি, আইইডিসিআর, ডিজি হেলথ তারপর ওয়াসা, তাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, আগামী ১৫ মের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশকে ৭৫ লাখ কলেরার টিকা দিচ্ছে বলেও মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এসব টিকা জনগণকে দেওয়া হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যখন ড্রাই সিজনে পানির খুব অভাব হয় তখন বরিশালের উপকূলীয় এলাকায় ডায়রিয়া হতো। এখানেও হয়েছে, এর কয়েকটি কারণ আমরা খুঁজে বের করেছি। বিষয়গুলো নিয়ে কেবিনেটেও আলোচনা হয়েছে। আমরা চেক করে দেখলাম, ওয়াসা যে পানি দেয়, সে পানির সোর্সে কোথাও ব্যাকটেরিয়া নেই। তবে পানিটা যে পাইপ দিয়ে আসছে তার অনেক জায়গায় লিক আছে, এখন মানুষ কী করছে, লাইন নিজেরা কেটে পাম্প বসিয়ে পানি টেনে নিয়ে আসছে। এখন যেখানে কাটছে সেখানে তো লিক থেকে যাচ্ছে। সেখান দিয়ে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করছে। এটা অন্যতম একটা কারণ।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আরেকটি বিষয়ে বিষয় উল্লেখ্য করেছেন, সেটি হচ্ছে মানুষ ট্যাংকগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করে না। এই রিজার্ভারগুলো ৩ মাস বা ৬ মাস পর পরিষ্কার না করলে ব্যাকটেরিয়া ডেভেলপ করবে। এটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। সবাইকে একটু মোটিভেট করতে হবে। ওয়াসাকে বলা হয়েছে, আমরা পিআইডিকেও বলে দিচ্ছি, তারা এখন থেকেই ম্যাসিভ প্রোমোশন ক্যাম্পেইন করবে।