কেবিনে নেওয়া হলেও ঝুঁকিমুক্ত নন খালেদা জিয়া

করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সিসিইউ সুবিধা সম্পন্ন কেবিনে নেওয়া হয়েছে। তবে তার ঝুঁকি এখনো কাটেনি।
শুক্রবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাজেট প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘ম্যাডামকে বৃহস্পতিবার বিকেলে একটা বিশেষ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে তিনি একেবারেই যে সুস্থ হয়ে গেছেন, তা নয় কিন্তু। বলা যেতে পারে, এখনো সমস্যা রয়েছেন। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘উনার সমস্যা মূলত হৃদ্যন্ত্র, কিডনি আর ফুসফুসের অবস্থা নিয়ে। এই তিনটাই কিন্তু ঝুঁকির মধ্যে আছেন। যদিও তার ফুসফুসে সংক্রমণ এখন নেই, কিন্তু হার্টে তার এখনো সমস্যা আছে, কিডনিতেও সমস্যা আছে।’
সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘কভিড পরবর্তী কতগুলো রিঅ্যাকশন হয়েছিল এবং আরেকটি রিঅ্যাকশন যেটা বিপজ্জনক ছিল- উনার রক্তে কিছুটা ইনফেকশন হয়েছিল। আল্লাহর রহমতে এবং ডাক্তারদের অত্যন্ত বিচক্ষণতায়, আন্তরিকতায় সেই ইনফেকশনটা দূর হয়েছে।’
‘যেহেতু ওইখানে (সিসিইউ) সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি, আবারও হতে পারে, সে কারণে উনারা (চিকিৎসক) তাকে বিশেষ কেবিনে স্থানান্তর করেছেন’ যোগ করেন মির্জা ফখরুল।
এক মাস সিসিইউতে থাকার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে খালেদা জিয়াকে যে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়, সেখানেও সিসিইউর বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত খালেদা জিয়া গত ২৭ এপ্রিল ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে শ্বাসকষ্ট বাড়লে গত ৩ মে তাকে সিসিইউতে নেওয়া।
হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।