কোন অনিয়ম অপেশাদারিত্ব বরদাস্ত করা হবে না: পুলিশ কমিশনার

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, কল্যাণের যত কিছু আছে দিতে প্রস্তুত, কিন্তু কোন অনিয়ম অপেশাদারিত্ব বরদাস্ত করা হবে না। পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় ওই কথা বলেন পুলিশ কমিশনার।

সোমবার (২৪ আগস্ট) সকালে নগরীর পুলিশ লাইন্স-এ মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খানের সভাপতিত্বে মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পুলিশ কমিশনার বলেন, পুলিশকে সীমার মধ্যে থেকে আইন প্রয়োগ করে অপরাধ দমন করতে হবে। অপেশাদার সুলভ আচরণ করা চলবে না। যেই জনগণের টাকায় আমরা বেতন রেশনসহ সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছি সেই জনগণের প্রতি মানবিক ও প্রকৃত সেবামূলক আচরণ করা হচ্ছে কি-না তা সেবা প্রত্যাশীদের ফোন করে নিয়মিত যাচাই করা হচ্ছে। কেউ যদি অপেশাদার, শৃঙ্খলা পরিপন্থি বদনাম ডেকে আনার চেষ্টা করে, তাকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না। ছোট ছোট ছাড় দিতে দিতে অনেক বড় খেসারত দিতে হয়। কোনো ছাড় নয়, এটাই ফাস্ট এটাই লাস্ট। তাই জনমুখী সেবা হচ্ছে কি না জনগণ সেবা পাচ্ছে কি না দায়িত্বরত কোন অফিসার অন্য উদ্দেশ্য নিয়ে সেবা প্রত্যাশীদের সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ আচরণ করছে কি না তা নিয়মিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কমিশনার বলেন, করোনার সময়ে কর্তব্য পালন করার পাশাপাশি মানবিক গুণাবলী নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের সত্যিকারের হিউম্যান ফেসগুলো আরও বেশি ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি। এখনও যদি কোথাও কোন দুষ্ট আত্মা ঘোরাফেরা করে, তাদের জন্য কঠোর হুঁশিয়ারি। জনগণের সঙ্গে খারাপ আচরণ এর মত গর্হিত কাজের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। থানা আমাদের মূল সেবা কেন্দ্র। কেউ যেন সেবা প্রত্যাশীর বিড়ম্বনা বা চোখের পানির কারণ না হয়। আমরা স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিধি মেনেই আগের মতই বিট পুলিশিং, ওপেন হাউজ ডে, কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে জনগণের সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে আভিযানিক কার্যক্রম আরো শক্তিশালী করে নিরাপদ বরিশাল গড়ে তুলতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের দরবারে উপহার দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে সবাই সত্যিকার অর্থে আন্তরিক হয়ে কাজ করতে হবে।

অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর-দপ্তর) রুনা লায়লার উপস্থাপনায় কল্যাণ সভায় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রলয় চিসিম, উপ-পুলিশ কমিশনার ক্রাইম অপারেশন অ্যান্ড প্রসিকিউশন মো. জুলফিকার আলি হায়দার, উপ-পুলিশ কমিশনার সদর দপ্তর আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ্, উপ-পুলিশ কমিশনার নগর বিশেষ শাখা জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক, উপ পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার, উপ-পুলিশ কমিশনার দক্ষিণ মো. মোকতার হোসেন, উপ-পুলিশ কমিশনার সাপ্লাই অ্যান্ড লজিস্টিকস খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের, উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তর মো. খাইরুল আলম, উপ-পুলিশ কমিশনার ডিবি মো. মনজুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।