গাছে গাছে আমের মুকুল, বাতাসে মিশেছে পাগল করা ঘ্রাণ

আমাদের বিদ্রোহী কবি, প্রেমের কবি, কাজী নজরুল ইসলাম তার গনে বলেছেন ‘বেল ফুল এনে দাও চাই না বকুল চাইনা হেনা, আনো আমের মুকুল’। কবি তার গানে অপরূপ সুন্দরের বর্ননা দিয়ে গেছেন। আমরে মুকুল বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মনকে করে বিমোহিত।
আমের মুকুল। ছবি তুলেছেন এন আমিন রাসেল, আলোকচিত্রী ভোরের আলো।
বাস্তব রূপ পেতে বাকি রয়েছে আর মাত্র কয়েক মাস। তবে সুখের ঘ্রাণ বইতে শুরু করেছে। গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলোতে। বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। সেই মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে বাগান মালিকদের চোখে ভাসছে স্বপ্ন। তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর।
‘আমের মুকুল। ছবি তুলেছেন এন আমিন রাসেল, আলোকচিত্রী ভোরের আলো।’
আবহাওয়া অফিসও জানিয়েছে মার্চের শেষ সপ্তাহে ভারী বৃষ্টিপাত এবং এপ্রিল ও মে মাসে সম্ভবানা রয়েছে দুটি ঘূর্ণিঝড় হওয়ার।
মার্চ, এপ্রিল ও মে এই তিন মাসের আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস থেকে এসব তথ্য জানা যায়। মার্চের শেষ সপ্তাহে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতজনিত কারণে আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে।
আম চাষিরাও রয়েছে হুমকি মুখে। এই মূহুর্তে গাছে মুকুল থাকতে যদি ঝরে প্রকোপে পরে তবে আম চষিদের ক্ষতিগ্রহস্ত হওয়ার সম্ভবনাই বেশি। তাই ঝড়ের প্রকোপ থেকে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। আমের মুকুল বাঁচাতে হবে।
আমের মুকুল। ছবি তুলেছেন এন আমিন রাসেল, আলোকচিত্রী ভোরের আলো।