গৌরনদীতে প্রতারনার মামলায় আনোয়ারা ক্লিনিকের মালিক গ্রেপ্তার

গৌরনদীতে প্রতারনার মামলায় আনোয়ারা ক্লিনিকের মালিক গ্রেপ্তার
বরিশালের গৌরনদী উপজেলা সদরে আনোয়ারা ক্লিনিকের মালিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট ডাঃ মোঃ হেদায়েতুল্লাহকে গত রোববার রাতে পুলিশ গৌরনদী পৌর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রসুতিকে অপারেশন করাকে কেন্দ্র করে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার বিকেলে পুলিশ গ্রেফতারকৃতকে বরিশাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে আদালত বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরন করেন। গৌরনদী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মাহাবুবুর রহমান জানান, পার্শ্ববর্তী বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট হিসেবে মোঃ হেদায়েত উল্লাহ কর্মরত আছেন। হেদায়েত উল্লাহ ফার্মাসিস্টের পাশাপাশি আনোয়ারা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার পরিচালনা করে আসছেন। উক্ত ক্লিনিকে আগত জটিল রোগীদের প্রতারনা করে নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত চিকিৎসা সেবাসহ প্রসুতি মাসহ অন্যান্য রোগীদের অপারেশন করে আসছেন। উপজেলার বাঘার গ্রামের বিমল রায় তার সন্তান সম্ভবনা স্ত্রী অনিতা রায় (২৫) এর প্রসব বেদনা উঠলে রোববার রাত ১১টা দিকে তিনি আনোয়ারা ক্লিনিকে আসেন। এ সময় কর্তব্যরত ডাক্তারকে খুজতে থাকলে হেদায়েত উল্লাহ নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ক্লিনিকে ভর্তি হতে পরামর্শ দেন। রোগীর স্বজনরা হেদায়েত উল্লাহকে পূর্ব থেকে চেনার কারণে অনিতাকে নিয়ে ক্লিনিক থেকে বের হয়ে অন্য ক্লিনিকে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেন। এ সময় হেদায়েত উল্লাহ ও তার ক্লিনিকের ষ্টাফরা রোগী ও তার স্বজনদের দরজা বন্ধ করে অঅকটে রাখে। এ নিয়ে রোগীর স্বজনদের সাথে হেদায়েত উল্লাহ ও তার ক্লিনিকের ষ্টাফদের সাথে বাকবিতান্ডা হয়। এক পর্যায়ে রোগী ও তার স্বামীকে মারধর করে। বিষয়টি গৌরনদী মডেল থানাকে মুঠো ফোনে অবহতি করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে রোগী ও স্বজনদের উদ্ধার ও অভিযুক্ত হেদায়েত উল্লাহকে আটক করে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার বিমল রায় বাদি হয়ে গৌরনদী মডেল থানায় একটি প্রতারনা মামলা দায়ের করেন।