ঘূণিঝড় ফনীর প্রভাবে বোরো ধান রক্ষায় চলছে ধান কাটার কাজ

ঘূণিঝড় ফনীর প্রভাবে বোরো ধান রক্ষায় চলছে ধান কাটার কাজ
ঘুর্ণিঝড় ফনী মোকাবেলায় সারা দেশের সঙ্গে বরিশালের কৃষকদেরও মাঠের পাকা ধান কেটে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। অনেক কৃষক ধান কেটেছেন দাবি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের। তবে মাঠে এখনো ধান রয়েছে। কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. তৌফিকুল আলম দেশ রূপান্তরকে বলেন, গত পরশু বরিশাল জেলাসহ বিভাগের সব কৃষকদের পাকা ধান কেটে সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনেক কৃষক তাদের মাঠের বোরো ধান কেটেছেন। তবে এখনো মাঠে অনেকের ধান রয়েছে। তবে কি পরিমাণ ধান কাটা হয়েছে এবং কি পরিমাণ মাঠে আছে সেই তথ্য এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে আসেনি। মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশীদ জানান, উপজেলার যেসব খেতের ধান ৭০ ভাগ পেকেছে, সেসব ক্ষেতের ধান কাটার জন্য কৃষকদের বলা হয়েছে। অধিকাংশ কৃষক ধান কেটে নিয়েছেন। এসব এলাকর ধান একটু দেরিতে পাকে। তাই মাঠে কাচা ধান রয়েছে। মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর এলাকার কৃষক মো. আনোয়াার হোসেন বলেন, ধান কাটার নির্দেশ দিলেই হবে? মাঠের ধান এখনো পাকেনি। তা ছাড়া যে ধান পেকেছে তাও এত অল্প সময় কাটা সম্ভব নয়। আমরা কিছু ধান কেটেছি। বেশিরভাগ ধান মাঠে আছে। বাকেরগঞ্জ উপজেলার কৃষক মো. ফরিদউদ্দিন বলেন, বাকেরগঞ্জে ধান না থাকলেও মাঠে তিল, মরিচ, বাদাম রয়েছে। সেগুলো রক্ষ্ াকরা কঠিন হবে। মুলাদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রেজাউল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, উপজেলায় প্রায় এক হাজার একর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। ৮০ ভাগ পেকেছে এমন মাঠের সব ধান কাটা হয়েছে। গৌরনদী উপজেলার কৃষক অনিল বেপারী বলেন, ধান কাটার নির্দেশ দেওয়া হয়েছ। আমরা কিছু ধান কাটতে পেরেছি। বাকি ধান মাঠে আছে। তবে বেশিরভাগ ধান এখনো কাচা। গৌরনদী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. মামুনর রহমান বলেন, উপজেলায় ৬ হাজার ২০০ একর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। গত কয়েক দিন আগে উপজেলার কৃষকদের নিয়ে পরামর্শ বৈঠক করে যাদের ধান ৮০ ভাগ পেকেছে তাদের ধান কেটে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। অনেকেই ধান কেটেছে। তবে খেতে কাঁচা ধান রয়েছে।