ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে নিরাপদ আশ্রয়ে শত শত ফিশিং ট্রলার উপকূলে

ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে নিরাপদ আশ্রয়ে শত শত ফিশিং ট্রলার উপকূলে

ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ আতঙ্কে সতর্ক রয়েছে বরগুনা জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্ত ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত ঘোষণা করেছে।

ঘূর্ণিঝড়টি দুপুরে পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬০০ কিঃ মিঃ দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। ফলে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ আতঙ্কে রয়েছে বরগুনা উপকূলবাসী।

বরগুনায় গতকাল দিনভর সূর্য্যের দেখা মেলেনি। বিকাল থেকে গুমোদ আবহাওয়ার সঙ্গে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে আসড়ে পড়ছে বিশাল বিশাল ঢেউ। এই অবস্থায় উত্তাল সাগরে টিকতে না পেরে সকাল থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে শত শত ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনের ছোট ছোট খালসহ পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ অবস্থান নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে গতকাল দুপুরে বরগুনা নদীর পানি ২৪০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধির রেকর্ড করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।  তবে, তা এখনো বিপদ সীমার নিচে রয়েছে। 

 বরগুনা জেলা বন কর্মকর্তা জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ ধেয়ে আসা খবরে দেশি-বিদেশি পর্যটক, তালতলী শুঁটকী পল্লীর জেলেসহ সকল কর্মকর্র্তা ও বনরক্ষীদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 

জাওয়াদের প্রভাবে ইতিমধ্যেই বরগুনার নদ-নদীতে পানির উচ্চতা বেড়েছে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রস্তুতির বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, পায়র সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেয়া হলেও আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। বরগুনা সদর, পাথরঘাটা, আমতল, তালতলী, বেতাগী, বামনার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে আবহাওয়া পরিস্থিতির উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য। প্রয়োজনে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো খুলেদিতে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।