ছাত্রলীগ নেতার হাত ধরে পালিয়ে যাওয়া স্ত্রী সন্তানদের ফেরত পাওয়ার দাবিতে বরিশালে সংবাদ সম্মেলন

বরিশালের মুলাদীতে পরকীয়া প্রেমিক ছাত্রলীগ নেতার হাত ধরে পালিয়ে যাওয়া প্রবাসীর স্ত্রীকে ফেরত পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছে তার পরিবার। এখন তারা বিগত ১০ বছরে স্ত্রীর হিসেব নম্বরে কুয়েত প্রবাসী ছেলের পাঠানো অর্থ এবং তাদের দুই সন্তান ফেরত চান।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বরিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান কুয়েত প্রবাসী মোতালেব কাজীর বাবা আবুল হাসেম কাজী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, ১৭ বছর আগে তার ছেলে মোতালেব কাজী একই এলাকার আসমা খানম লাকীকে বিয়ে করে। তাদের দাম্পত্যে দুটি সন্তান রয়েছে। সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে তার ছেলে মোতালেব কাজী গত ১০ বছর ধরে কুয়েতে প্রবাস জীবন যাপন করে। গত ১০ বছরে তার ছেলে কুয়েতে আয় করা সমূদয় অর্থ প্রেরন করে তার স্ত্রী লাকীর ব্যাংক হিসেবে। গত ১৬ নভেম্বর মোতালেবের পাঠানো ২০ লাখ টাকা ও ৪ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্নালংকার এবং দুই সন্তান নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক মুরাদ কাজীর হাত ধরে পালিয়ে যায়। পরে তারা নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করে। এ ঘটনায় পরদিন ১৭ নভেম্বর মুলাদী থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। এ ঘটনায় তারা জেলা এবং কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের কাছে অভিযোগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুরাদ কাজী তাদের জীবন নাশের হুমকী দিচ্ছে। তার ভয়ে তারা নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। সেখান থেকে পালিয়ে বরিশাল এসে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রবাসীর বাবা আবুল হাসেম কাজী।
সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রীর নামে প্রবাসী ছেলের পাঠানো অর্থ এবং তার দুই সন্তানকে ফেরত পাওয়ার দাবি জানান আবুল হাসেম কাজী। একই সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা মুরাদের রোষানল থেকে বাঁচতে সরকার প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এ সময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।