জামিন পেলেন ইমরান খান

জামিন পেলেন ইমরান খান

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং বিক্ষোভ উসকে দেয়ার মামলায় জামিন পেয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ইমরান খানকে জামিন দিয়েছেন লাহোর হাইকোর্ট। শুক্রবার জামিনের এ আদেশ দেয়া হয়।

এর আগে, গত ৬ এপ্রিল মঞ্জুর আহমেদ খান নামে একজন ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও জনসাধারণের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়ানো এবং প্রতিষ্ঠান ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের অমার্জনীয় ক্ষতি করার চেষ্টা করার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেন। ইসলামাবাদের রমনা থানায় ওই এফআইআর দায়ের করা হয়।

এ মামলায় জামিন আবেদন করেছিলেন ইমরান। শুক্রবার কড়া নিরাপত্তার মধ্যে লাহোর হাইকোর্টে হাজির হন তিনি। এ সময় আদালত ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এছাড়া এক বিচারককে হুমকি দেয়ার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গত ২৯ মার্চ ইমরান খানের বিরুদ্ধে ফের জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। এ পরোয়ানা জারি করে ইসলামাবাদের একটি আদালত।

যে মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় সেটা মূলত ইমরান খানের একটি বক্তব্য সম্পর্কিত। গত বছর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় শাহবাজ গিল নামে তার এক রাজনৈতিক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু তার জামিন দিতে অস্বীকৃতি জানান আদালত।

এরপর ইসলামাবাদের ফাতিমা জিন্নাহ পার্কে এক সমাবেশে ইমরান খান জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেবা চৌধুরী ও পুলিশের একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে ‘দেখা নেয়ার’ হুমকি দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

সম্প্রতি তোষাখানা মামলার শুনানিতে উপস্থিত না হওয়ায় ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সেই পরোয়ানা নিয়ে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে পিটিআই সমর্থকদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাকিস্তানের রাজনীতির মাঠ। চরম নাটকীয়তার পর ইমরান খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল করেন আদালত।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সাড়ে তিন বছর দায়িত্ব পালনের পর গত বছরের এপ্রিলে জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। এরপর থেকে তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দেয়া হয়েছে।