সাবেক প্রয়াত মেয়র হিরণের বড় ভাইয়ের ইন্তেকাল, সমাগম ঠেকাতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা

বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্রয়াত সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শওকত হোসেন হিরনের বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা মো. হারুন অর রশিদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহে ... রাজেউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ছাড়াও ১ছেলে এবং ১ মেয়ে রেখে গেছেন।
গত সোমবার দিবাগত রাতে ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
আজ সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে হিরনের ভাইয়ের সংক্ষিপ্ত জানাজার পর মুসলিম গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে মো. হারুন অর রশিদের জানাজা নামাজে লকডাউন ভেঙ্গে ব্যাপক জনসমাগমের আশংকায় হিরনের বাসার আশপাশসহ ৩টি নির্দিস্ট এলাকার ৫০০ গজের মধ্যে যে কোন শব্দ যন্ত্র বা লাউড স্পিকার ব্যবহার কিংবা ৫ বা ততোধিক ব্যক্তির সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। তবে সন্ধ্যার পর ওই আদেশ প্রত্যাহার করা হয় বলে জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান।
মুক্তিযোদ্ধা মো. হারুন-অর রশিদ নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নূরিয়া স্কুল সংলগ্ন অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান মোস্তফা সড়কের বাসিন্দা ছিলেন।
নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মেহেদী পারভেজ খান আবির জানান, প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরনের ভাই মুক্তিযোদ্ধা মো. হারুন অর রশিদ দীর্ঘ প্রায় ১ মাস ধরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সব শেষ গত ১ সপ্তাহ ধরে তিনি ওই হাসপাতালের আইসিইউতে ছিলেন। গত সোমবার রাতে তিনি ইন্তেকাল করেন।
মঙ্গলবার শেষ বিকেলে তার মরদেহ বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকা থেকে বরিশালের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে নিজ বাড়ির সামনে পরিবারের সদস্যসহ ঘনিস্ট ১৫/২০জনের অংশগ্রহণে তড়িঘড়ি করে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় তকে মুসলিম গোরস্থানে দাফন করা হয়।
করোনা সংক্রমণের আশংকায় প্রশাসনসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তার জানাজা নামাজে অনেককেই যেতে দেয়নি বলে জানান ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবির।
এদিকে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরনের ভাই হওয়ায় তার জানাজায় লকডাউন ভেঙ্গে অনেক লোক সমাগম হতে পারে আশঙ্কায় ২০০৯ সালের বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনের ৩০, ৩১ ও ৩৪ ধারার ক্ষমতাবলে পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান গতকাল বিকেলে এক আদেশে হিরণের বাসার আশপাশ, নূরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মুসলিম গোরস্থান এলাকার ৫০০ গজের মধ্যে যে কোন শব্দ যন্ত্র বা লাউড স্পিকার ব্যবহার কিংবা ৫ বা ততোধিক ব্যক্তির সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।
এই অবস্থায় মধ্যে গতকাল সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে হারুন-অর রশিদের নিজ বাড়িতে পারিবারিক ঘনিষ্ট ১৫-২০ জনের উপস্থিতিতে শারীরিক দূরত্ব অনুসরণ করে তার সংক্ষিপ্ত জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় তাকে মুসলিম গোরস্থানে দাফন করা হয়।
পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার ঘটনার পর পুলিশ প্রশাসন সতর্কাবস্থায় রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরনের ভাই হওয়ায় তার নামাজে জানাজায় লকডাউন ভেঙে অনেক লোক সমাগম হতে পারে সেই আশঙ্কায় তিনি ওই আদেশ জারী করেছিলেন। তবে প্রশাসনসহ পুলিশের উপস্থিতিতে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সংক্ষিপ্ত পরিসারে তার নামাজে জানাজা শেষে তাকে মুসলিম গোরস্থানে দাফনের পর গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় ওই আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।